আলতাফ পারভেজ: বিহারের নির্বাচনের ফল কিছুটা জটিল। বিজেপি ভালো করেছে। কিন্তু তাদের প্রধান শরিক নীতিশ কুমারের জনতা দল চরম খারাপ করেছে। কংগ্রেসও খারাপ করেছে। কিন্তু তাদের মিত্র লালু প্রসাদের দল শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে। এদের মিত্র বামপন্থীরা অনেক ভালো করেছে। এই জটিল সমীকরণ থেকে চট করে কোনো উপসংহারে পৌঁছা কঠিন। বিজেপি ৫৩ থেকে বেড়ে ৭৪টিতে এগিয়ে থাকলেও লোকসভা নির্বাচনের মতো একচেটিয়া কোনো রায় পায়নি। লোকসভায় তাদের জোট ৪০ আসনের ৩৯টিতে জিতেছিলো। এবার এই জোট তেমন ভূমিধস বিজয় পায়নি। ফলে মোদি ঢেউ আছে এবং নেই দুটোই। আবার বিজেপিবিরোধী জোট তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও কংগ্রেস একেবারে শুয়ে পড়েছে। এ থেকে এমনও উপসংহারে যাওয়া যাচ্ছে না সেকুলারদের বিহারবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ বামরা গতবারের মাত্র ৩টি আসন থেকে বেড়ে এবার ১৭টিতে এগিয়ে আছে।
তার মধ্যে আবার বেশি এগিয়ে প্রাক্তন নকশাল ধারার লিবারেশন গোষ্ঠী। আসন প্রার্থী এগিয়ে থাকার অনুপাতে পুরো নির্বাচনে এদেরই অবস্থান সবচেয়ে ভালো। ‘মিম’ নামে পরিচিত আসাদ-উদ্দীন ওয়াইসির দলটিও মুসলমানপ্রধান ৫টি আসন পেয়ে চমকে দিয়েছে। ওয়াইসির মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন কংগ্রেসের ‘মুসলমানভোট’ কেড়ে নিয়ে গেছে বড় অংকে। সাধারণভাবে মনে হচ্ছে বিজেপিকে মোকাবেলায় ভারতের মানুষ কংগ্রেস বরং আরও লড়াকু ধারাকে পছন্দ করছে। বিহারের এই অভিজ্ঞতার পর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে যে কোনো রাজনৈতিক দল এখন থেকে দ্বিতীয়বার ভাববে। তবে বিহার জানিয়ে দিলো ৪-৫ মাস পরে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে। যাতে বাংলাদেশের জন্যও কিছু বার্তা আছে। এসব বিষয় নিয়ে সকালে ফলাফলের শুরুর ছবি দেখে যা লিখেছিলাম সেটা মন্তব্য কলামে রয়েছে, সন্ধ্যা নাগাদ পরিস্থিতি খুব সামান্য পাল্টিয়েছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :