সুজিৎ নন্দী: [২] এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দশ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) শনিবার শেষ হয়েছে।
[৩] গত ২ থেকে ১২ নভেম্বর এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। তবে ঢাকা-১৮ আসনে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন থাকায় ১২ নভেম্বর অঞ্চল ১, অঞ্চল ৬ ও অঞ্চল ৮-এ অভিযান স্থগিত ছিল।
[৪] চিরুনি অভিযানে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ৮৮৩টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। ডিএনসিসির মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) সর্বোচ্চ সংখ্যক স্থাপনায় ৩৩৫টি এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।
[৫] অভিযানে উত্তরা অঞ্চলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫টি স্থাপনায়, কাওরানবাজার অঞ্চলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৯টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। চিরুনি অভিযানে মিরপুর ২-এ (অঞ্চল-২) ৬০টি, মিরপুর ১০-এ (অঞ্চল-৪) ৪০টি, হরিরামপুরে (অঞ্চল-৬) ৬৮টি, দক্ষিণখানে (অঞ্চল-৭) ৩০টি, উত্তরখানে (অঞ্চল-৮) ১১টি, ভাটারায় (অঞ্চল-৯) ৪৯টি ও সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৬টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।
[৬] এডিসের লার্ভা পাওয়া স্থানগুলো হলো, স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে, ফুলের টব, পানির ট্যাংকি, গ্যারেজ, ভাঙা মগ, রঙের কৌটা, ডাবের খোসা, ফেলে দেয়া দইয়ের পাত্র, প্লাস্টিকের বাটি, পরিত্যক্ত বাসন ও বালতি, পানির চৌবাচ্চা, টায়ার, ডোবা ইত্যাদি। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :