ইসমাঈল ইমু : [২] শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এ অভিযোগ করেন এএসপি মোস্তফা মঞ্জুরের স্ত্রী ডা. লাবনী আক্তারের আইনজীবী এডভোকেট সাজ্জাদুল হক সিহাব। বাদী অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। এসময় বাদীর আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
[৩] লিখিত বক্তব্যে সিহাব বলেন, ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ি এপিবিএন স্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারের এএসপি মো. মোস্তফা মঞ্জুরের সাথে চাঁদপুর এ্যাপালো হাসপাতালে কর্মরত এমবিবিএস ডা. লাবনী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ঘর সাজানোর কথা বলে এবং গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় বিল্ডিং তুলতে দুই দফায় ৩০ লাখ টাকা যৌতুক নেন মোস্তফা মঞ্জুর। এমনকি ডা. লাবনী তার মাসিক বেতনের ১ লাখ টাকা এএসপি’র পরিবারকে দিতে হতো। তা সত্ত্বেও আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এএসপি ও তার পরিবার।
[৪] রাজী না হওয়ায় গত ৮ আগস্ট এএসপির মারধরে আহত হন লাবনী। স্বামী ও তার পরিবারের যৌতুক দাবি, যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করায় এএসপির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ করেন ডা. লাবনী। কিন্তু এতেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর এএসপি’র বিরুদ্ধে কোর্টে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন ডা. লাবনী। পরে ২০ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে তার কর্মস্থলের ঠিকানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠায় কোর্ট। কিন্তু পুলিশ তাকে আদৌ গ্রেপ্তার করেনি।
আপনার মতামত লিখুন :