শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:০১ সকাল
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা, [২]ঝুলেই আছে শিক্ষার সব সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক: [৩]শিক্ষা সেক্টরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে করোনাভাইরাসের কারণে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি আটকে আছে বিভিন্ন পরীক্ষাও। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আগামী বছরের এ পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপও হয়নি। নেওয়া হয়নি টেস্ট পরীক্ষাও।

[৪]করোনা মহামারীর প্রকোপ বন্ধ না হওয়ায় এ পরীক্ষার সময়সূচিও প্রকাশ করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। ফেব্রুয়ারিতে এ পরীক্ষা হচ্ছে না বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা বোর্ডের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে পরে সুবিধাজনক সময়ে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হলেও এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কবে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়নি।

[৫]করোনার কারণে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকার। এসব শ্রেণিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাতিল করা হয়েছে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও। এসব শিক্ষার্থীর জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ফল প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই ফল প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাগিদ দিলেও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে জানিয়েছে তারা এ প্রক্রিয়ায় যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা প্রথমে ‘প্রক্টরড রিমোট এক্সামিনেশন সিস্টেম’ সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কথা বললেও পরে সম্প্রতি এক বৈঠকে জানায়, এই সফটওয়্যার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার মতো সক্ষমতা দেশে এখনো তৈরি হয়নি। এই সফটওয়্যার দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। তাই বাতিল করা হয় এ প্রক্রিয়া।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সভায় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঁচটির পরিবর্তে তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে মাধ্যমিক স্তরের কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্যের বিপরীতে তিনটি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া এবং ‘ঘ’ (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) ও ‘চ’ (চারুকলা অনুষদ) ইউনিটের পরীক্ষা বিলুপ্তির কথা বলা হয়। তবে এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদের শিক্ষকরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ওই সভায় চ-ইউনিটের জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ রাখার কথা বলা হয়েছে। এদিকে ঘ-ইউনিট বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকাংশ শিক্ষক। ৯ নভেম্বর অনুষদটির অভ্যন্তরীণ এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তবে ভর্তি নিয়ে এসব সিদ্ধান্তের কোনোটিই চূড়ান্ত নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। করোনার কারণে সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস ক্লাস বন্ধ থাকায় সেগুলোতে সেশনজট প্রকট হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আভাস দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত দুই হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে সব পরীক্ষা আটকে গেছে। এদিকে ২০১৮ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের (বিশেষ) মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এসব পরীক্ষা চলবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) সূত্র জানায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাসগুলো সরকারি ছুটির দিনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাউবির অনার্স, মাস্টার্স ও প্রফেশনাল কোর্সে সরাসরি পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তাদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এসএসসি, এইচএসসি ও ডিগ্রি পর্যায়ে সারা দেশে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থীর ক্লাস বন্ধ রয়েছে।

এদিকে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের টিউশন ফি আদায়ে চাপ দিচ্ছে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে টিউশন ফি নিয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে। কিন্তু এরপর ১৫ দিনের বেশি অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি মাউশির পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়