যশোর প্রতিনিধি: [২] যশোরে শহরতলীর উপশহর এলাকায় শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌঁনে ছয়টায় ছোটভাইয়ের হাতে বড়ভাই খুন হয়েছে। উপশহর ডাকবাংলার পশ্চিমপাশে ভৈরব নদের অবৈধ স্থাপনায় ছোটবোন রীনা পারভিনের বাসায় কথা কাটাকাটির জের ধরে বড়ভাই মিরাজ হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাত করে ছোট ভাই ইরান হোসেন (২১)। যশোর জেনারেল হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহত মিরাজ শহরতলীর পাগলাদহ গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
[৩] নিহতের বোন রোজিনা জানিয়েছেন, তারা চার বোন, দুই ভাই। বাড়ি পাগলাদহ গ্রামে। ছোট বোন ময়না উপশহর ডাকবাংলার পশ্চিমপাশে ভৈরব নদের পাড়ে সিরাজুল ইসলাসের বাড়িতে ভাড়া থাকে। ময়না শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ভাইবোনদের দাওয়াত দেন। সে মোতাবেক সকলে ওই বাড়িতে যান। নিহত মিরাজের দুই বউ।
[৪] দুপুরে মিরাজ গোছলের জন্য টিউবওয়েল চেপে দেয়ার জন্য বড় বউকে বলে। সে সময় তারা বলেন বড় বউ বেড়াতে এসেছে। টিউবওয়েল চেপে দিবে ছোট বউ। কারণ ছোট বউ উপশহর নদীরপাড় এলাকায় থাকে। এই নিয়ে কথাকাটাকাটি ও তর্ক বিকর্ত হয়। ছোট ভাই ইরান (২২) ও তার স্ত্রীও ওই কথাকাটাকাটির মধ্যে জড়িয়ে পড়ে।
[৫] এই নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে ইটের আঘাতে ইরানের স্ত্রীর পায়ে ক্ষত হয়। বিকেলে ইরানের স্ত্রীকে মিরাজ ও ইরান ইজিবাইকে করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওই বাড়িতে ফিরে মিরাজ ও ইরান হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ইরান মিরাজের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে হাপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিরাজকে সন্ধ্যায় দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৬] রোজিনা আরো জানিয়েছেন, মিরাজ মাদক সেবী। দিন মজুরের কাজ করে। দুই ভায়ের মধ্যে কারহাতে ধারালো অস্ত্র ছিলো তা কেউ দেখেনি। শুধু মিরাজকে বুক চেপে পড়ে যেতে দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[৭] যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমীয় দাস জানিয়েছেন, ‘বুকের বাম পাশে রোগীর ক্ষত দেখা গেছে। সম্ভাবত হার্ট ছিদ্র হয়ে যাওয়ার রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতে তিনি মারা যান। তবে পোস্টমর্টাম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’
[৮] এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ‘দুই ভায়ের মধ্যে মারামারিতে একজন মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। ছোট ভাইকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :