রাশিদুল ইসলাম : [২] সিনিয়র রিপাবলিকান নেতারা নির্বাচিত ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে ব্রিফ নেয়ার সুযোগ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর মানে বাইডেনকে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব বুঝে নিতে ট্রাম্পের ওপর তার দলের চাপও বাড়ছে। সিএনএন
[৩] তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের বেশিরভাগ আইন প্রণেতা এবং কর্মকর্তা ট্রাম্পকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন যেন বাইডেনকে ট্রাম্প আইনের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। কিন্তু সিনিয়র রিপাবলিকান নেতারা মনে করছেন এতে কোনো লাভ হবে না। কারণ নির্বাচনে কারচুপি দাবির পক্ষে এখনো গ্রহণযোগ্য বড় কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেন নি ট্রাম্প।
[৪] সিনিয়র রিপাবলিকান নেতা সিনেটর শ্যালি মুর ক্যামিটো প্রকাশেই বলছেন বাইডেনই নির্বাচনে জিতেছেন। কারচুপি নিয়ে ট্রাম্পের দাবি ভিত্তিহীন। এক সপ্তাহের মধ্যে এধরনের আইনী চ্যালেঞ্জের প্রক্রিয়ার সুরাহা হয়ে যাবে। কারণ এটি প্রমাণও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্যে খুব কঠিন।
[৫] শ্যালির মত আরো অনেক রিপাবলিকান নেতা মনে করছেন ট্রাম্পের নির্বাচন নিয়ে আইনী লড়াই টিকবে না। এমনকি ইভানকা ট্রাম্প, তার স্বামী জ্যারেড কুশনারসহ অনেকেই অ্যারিজোনায় বাইডেনে জয়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান আরো সঙ্গীন হয়ে পড়ল বলে মনে করছেন।
[৬] সিনেটর জন ব্রাসো মনে করেন আইনী লড়াই করে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকা সম্ভব নয় কারণ পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও নেভাডার মত রাজ্যগুলোতে তিনি হাজার হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। মিশিগানে হেরেছেন দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে। সুতরাং আদালতও শেষ পর্যন্ত তার দাবি খারিজ করে দেবেন। সিনেটর রন জনসন মনে করছেন এত বড় ব্যবধানের ট্রাম্পের পরাজয় বিশাল বোঝা।
আপনার মতামত লিখুন :