গাজীপুর প্রতিনিধি : [২] গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নন্দিত কথা সাহিত্যিক ও লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্ম দিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর কবরের পাশে শুক্রবার মানুষের ঢল নামে। নানা বয়সি হুমায়ূন ভক্ত সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করে নুহাশ পল্লীতে।
[৩] শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে হুমায়ুন আহমেদের হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে পুরো নূহাশপল্লীকে আলোকিত করেন নুহাশ পল্লীর কর্মকর্মা-কর্মচারিরা। রাতেই হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পু®পস্তবক অর্পণ এবং কবরের পাশে ফাতেহাপাঠ, কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন। এসময় নুহাশপল্লীর কর্মচারী ও অসংখ্য হুমায়ূন ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
[৪] কবর জিয়ারত শেষে নুহাশপল্লীতে হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেল তলায় হুমায়ুন আহমেদের ৭২তম জন্মদিনের কেক কাটেন তার দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত। এসময় শতাধিক হুমায়ূনভক্ত ভক্ত, গণমাধ্যমকর্মী ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
[৫] দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা নুহাশপল্লীতে ভীড় জমাতে শুরু করেন। তারা তাদের প্রিয় লেখকের কবরে ফুল দেন এবং নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থেকে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। ভক্তরা দিনভর তাদের প্রিয় লেখকের হাতে গড়া নুহাশপল্লী ঘুরে ঘুরে দেখেন।
[৬] লেখকের স্বপ্ন ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে জানিয়ে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে এই সময়ের তরুণ ও যুবকরা হুমায়ূন আহমেদের লেখা পাঠ করছেন এবং তাঁর লেখার ভেতরকার রস, বোধ ও মানবিকতার সাথে পরিচিত হচ্ছেন এটা বিস্ময়কর।
[৭] উল্লেখ্য, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :