সাদ্দাম হোসেন: [২] ভুট্টাক্ষেতে ঝিংগা চাষ করে বাড়তি আয় করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষক। একই জমিতে একই সময়ে দুই ফসল আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন এলাকার চাষী। তাই এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষিবিভাগ।
[৩] পাঁচ-ছয় বছর ধরে সাথী ফসল হিসেবে ভুট্টাক্ষেতে ঝিংগা চাষ করছেন ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের চাপোর পার্বতীপুর ও বিরাশি সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষক ।
[৪] কৃষকরা জানায়, ভুট্টা ক্ষেতে ঝিংগা চাষে বাড়তি তেমন খরচ নেই। গাছের গড়ায় শুধু ড্যাপ সার দিতে হয়। এই পদ্ধতিতে বিঘাপ্রতি ঝিংগা চাষে খরচ হয় মাত্র ১ হাজার টাকা। আর ঝিংগা বিক্রি করে বাড়তি আয় হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা তাদের। ভুট্টা ওঠার আড়াই থেকে তিন মাস পর্যন্ত ঝিংগার ফলন পাওয়া যায়। ঝিংগা উঠার পর একই জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়। আলু ওঠার পর এই জমিতে গম আবাদ হয়। দানাদার এই ফসল ওঠার পর ফের ভুট্টার সাথে ঝিংগা চাষ করেন তারা ।
[৫] লেহেম্বার বিরাশি গ্রামের কৃষক রহিমুল্লাহ সহ একাধিক কৃষক জানান,তারা আগে মাচায় ঝিংগা চাষ করতেন। এতে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হতো তাদের। এখন ভুট্টাক্ষেতে ঝিংগা চাষ করছেন তারা। এই পদ্ধতিতে ঝিংগা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। তাই ভুট্টাক্ষেতে ঝিংগাচাষ হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় ।
[৬] রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন,চলতি বছর আড়াইশ কৃষক ভুট্টা ক্ষেতে ঝিংগা চাষ করেছেন ৫০ হেক্টর জমিতে। প্রতিবিঘা জমি থেকে দৈনিক দুই থেকে আড়াই মন ঝিংগা তুলে বাজারজাত করছে কৃষক। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর সহ আশপাশ এলাকায় চলে যাচ্ছে বিষ মুক্ত এই ঝিংগা। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :