মঈন উদ্দীন: [২] শীতকালে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় পর্যায় মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলছে রাজশাহী অঞ্চলেও। শীতের শুরুতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। আট দশদিন থেকে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। মাস্ক না পড়া, সামাজিক দূরত্ব কমে যাওয়া, গণপরিবহনে দরজা-জানালা বন্ধ থাকা, সামাজিক অনুষ্ঠান বেশি হওয়ায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই সময় সচেতন না হলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ আছে। কার্যকর কোনো টিকা না আসা পর্যন্ত করোনাভাইরাসকে ঠেকানো মুশকিল বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগি চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৬ জন।
[৩] রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২ নভেম্বর রোগী ছিলো ২১ জন। ১০ দিন পরে রোগী বেড়ে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রোগী সংখ্যা ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রস্তুত করা হয়েছে এক হাজার ২৮৭ বেড। এর মধ্যে ২৪টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এছাড়াও মজুদ করা হচ্ছে অক্সিজেন। জানিয়েছে রাজশাহী স্বাস্থ্য দপ্তর।
[৫] তবে ‘নো মাস্ক নো সেবা’ এবং ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাস্ক না পরায় কয়েকজনের জরিমানা করা হয়।
[৬] রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, করোনার দ্বিতীয় পর্যায় মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য আট জেলায় আপাতত এক হাজার ২৮৭টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :