শিরোনাম
◈ লন্ডনে এক লাখেরও বেশি মানুষের অভিবাসনবিরোধী সমাবেশ, পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে আহত ২৬ কর্মকর্তা ◈ কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা ◈ এক ম্যাচে দুই ভাইয়ের গোল, ইন্টার মিলান‌কে হারা‌লো জুভেন্টাস ◈ আজ থেকে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু, ভোট ১২ অক্টোবর ◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২২% বৃদ্ধি, চীনের হারানো অর্ডার এলো দেশে ◈ বিরল দৃশ্যের অবতারণা, কাবা ঘরের ওপর নেমে এলো চাঁদ ◈ ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া সেই ফারজানা ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার (ভিডিও) ◈ মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টা, লন্ডন পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের ◈ সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই ◈ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য চীনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে যে নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ০৬:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ০৬:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩০ বছর পর আজান হলো আজারবাইজানের শুশা শহরে

ডেস্ক রিপোর্ট: আর্মেনিয়ার হাত থেকে প্রায় ৩০ বছর পর নাগোরনো-কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুশা দখলমুক্ত করেছে আজারবাইজান। ওই শহরটিতে বুধবার প্রথমবারের মতো আজান দেয় আজারবাইজান। তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শুশা শহরের ঐতিহাসিক ইউখারি গভহার আগা মসজিদে আজারবাইজানের এক সেনাবাহিনীর সদস্য আজান দিচ্ছেন।

এরপর মসজিদ থেকে শহরের বেশ কিছু অঞ্চল দেখানো হয়। ১৯৯২ সালের ৮মে শুশা অধিগ্রহণ করে আর্মেনিয়ার বাহিনী। এই অঞ্চলটি আপার কারাবাখ এলাকার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর। যদিও এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। এর আগে ৮ নভেম্বর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভে আর্মেনিয়ার হাত থেকে শুশা শহরটি দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন।

ওই সময় সামরিক পোষাক পরে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইলহাম বলেন, ২৮ বছর পরে শুশায় আযান শোনা যাবে। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সীমান্তে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলে আসছিল। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় মাঝে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী এ লড়াইয়ে বেসামরিক নাগরিকসহ বহু প্রাণহানি ঘটেছে। দুই দেশের সংঘাতের মূলে ওই নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল। এলাকাটি জাতিগত আর্মেনীয় অধ্যুষিত। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় ভোটাভুটিতে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে রায় দেয়।

এরপর বিষয়টি নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। ১৯৯০ সালের ওই যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেই যুদ্ধ থামে ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে। এরপর থেকে এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।

কিন্তু আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের সমর্থনে আর্মেনিয়ার সরকার। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোর মধ্যস্থতায় দশকের পর দশক আলোচনা হলেও শান্তিচুক্তি অধরা থেকে গেছে। সবশেষ গত মঙ্গলবার থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়। এতে বিরোধীয় কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ার শান্তিরক্ষীবাহিনী পর্যবেক্ষণ করার কথা রয়েছে।

সূত্র : আওয়ার ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়