মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহীর তানোর উপজেলার আদর্শ কৃষক নূর মোহাম্মদ চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১ একর জমিতে ৭৪ প্রকার জাতের ধান রোপন করেছেন। ক্ষেতজুড়ে শোভা পাচ্ছে ছোট ছোট অনেকগুলো সাইন বোর্ড।
[৩] সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছ সেখানে লাল, বেগুনি, সোনালী, সবুজ, খয়েরি, সাদাগুটিসহ নানা প্রকার ধানে ভরপুর পুরো ক্ষেত। শুরুতেই যে কেউ দেখলে ভাববেন এটি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের কোন প্রর্দশনী প্লট। কিন্তু না, এটি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক নূর মোহাম্মদের নিজস্ব ধান গবেষণা প্রদর্শনী প্লট। কৃষক বাবার হাত ধরেই কৃষিতে হাতে খড়ি হলেও তিনি সঙ্করায়ণ করে বিভিন্ন প্রজাতির একের পর এক নতুন ধানের উদ্ভাবন করছেন।
[৪] নিজেকে আজন্ম কৃষক পরিচয় দেয়া এই প্রান্তিক আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ তার উদ্ভাবনী নতুন নতুন জাতের ধান সংখ্যা প্রায় ২’শ এর বেশি। তার নতুর জাতের ধানের উদ্ভাবনের স্বীকৃতি স্বরুপ রাষ্ট্রীয় স্বর্ণ পদকসহ পেয়েছেন একাধীক স্বর্ণ পদক। রাষ্ট্রীয় স্বর্বচ্চ সম্মাননায় পদক পাওয়া এই ধান বিজ্ঞানীর সংগ্রহে রয়েছে বিলুপ্ত প্রায় ৩’শ প্রকার ধান বিজ। এবছরও তিনি চিন্তা ও গবেষণায় আরো একটি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন।
[৫] এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, স্বশিক্ষিত এই ধান গবেষক নূর মোহাম্মদ দেশের সম্পদ ও গর্ব। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির ধান নিয়ে নিজে থেকেই কাজ করছেন। কৃষি অফিস সবসয়ই নূর মোহাম্মদকে সবধরনের সহযোগিতা করে আসছেন।
[৬] তিনি আরো বলেন, তার প্লট ধান বিজ্ঞানীদের পরিদর্শন করানো হয়েছে। অন্য বিজ্ঞানীরাও তার প্লট পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :