শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী : ‘রাজনীতিতে গ্রহণ আর বর্জনের ফারাকটুকু বুঝতে না পারলে রাজনীতি করা উচিৎ হবে না’

দীপক চৌধুরী: রাজনীতিতে মিথ্যাচার, কপটতা ও দুর্নীতি কোনোভোবেই চলবে না। ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ যারা পাঠ করেছেন তাদের অজানা নয়। প্রতিনিয়ত দেশের মানুষের ভেতর যে কাজটি করে, তা হলো তৃণমূলে ও জাতীয় পর্যায়ে থাকা রাজনীতিকদের নিয়ে যেন সাধারণ মানুষ অবিশ্বাসী না হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আশা ও আকাক্সক্ষা অনেক বেশি। বিশ্বাস ও আস্থা অনেক বেশি। সেই আস্থা এখনো মানুষকে আকৃষ্ট করে থাকে কেবলই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণে। চারদিকে ‘হাইব্রিড’ নেতার উত্থান মানুষকে ক্রমাগত আহত করছে। মানুষ তিক্ত-বিরক্ত হচ্ছে। আমি সুনামগঞ্জের মানুষ। এখানকার কমরেড বরুণ রায় ছিলেন অসাধারণ একজন ভালো রাজনীতিবিদ ও দেশপ্রেমিক। তাঁর ভালো নাম ছিল প্রসুনকান্তি রায় । যিনি মানুষকে ভালোবেসে তাঁর পিতার জমিদারিত্ব জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও বিলাসী জীবনকে ত্যাগ করে তিনি মানুষের মনের গভীরে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন, আম-জনতাকে ভালোবেসেই। ভাষা আন্দোলন, ভাসানপানি আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলনসহ সকল ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান ও অবদান স্পষ্ট ছিল। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ বরুণ রায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় পাকিস্তান আমলেই চৌদ্দ বছর জেলে ছিলেন। তিন দশক আগে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলাম। প্রশ্নোত্তর পর্বের অনেককথার মধ্যে একপর্যায়ে বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে গ্রহণ আর বর্জনের ফারাকটুকু বুঝতে না পারলে রাজনীতি করা উচিৎ হবে না।’ হাঁ, মনে হচ্ছে এটা এখনো আমরা অনেকে বুঝতেই পারছি না,তবে রাজনীতি করে যাচ্ছি।

স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নির্বাচন এখন সামনে। সুতরাং কঠিন বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করার এখন সময়। অনেক জায়গায়, জেলা-উপজেলায় এখন সুবিধাবাদীরা ‘শত্রুনিধন’-এ নানান রঙেঢঙে নিজেদের উপস্থাপন করছে। ব্যক্তিস্বার্থে স্বার্থে অন্ধ এ লোকগুলো অতীতের মিথ্যা-বানোয়াট খুন-খারাপির মামলাগুলো কাজে লাগাবে। মতলববাজরা এই সুযোগটি নেবে। দলের হলেও ল্যাং মারায় দক্ষরা এখন ঢাকায়। এদের কাছে ব্যক্তি বড়, দল নয়। সুতরাং তৃণমূলের মেয়র-জনপ্রতিনিধির বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। অতীতের পারফরমেন্স জরুরি। স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ(১৩ নভেম্বর) শুক্রবার। বিকাল সাড়ে ৩ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা জানি, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন, আদর্শ নিয়েই এ সংগঠন গড়ে উঠেছে। কাজেই জনগণের সেবা করাই আমাদের কর্তব্য। সেই সেবার মনোভাব নিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।

অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদারিপুর, ফরিদপুর এবং মৌলভীবাজার জেলার নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে ভাষণ দিচ্ছিলেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় এবং করোনা মোকাবেলায় তাঁর সরকার ঘোষিত ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজের কথাও প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন। তাঁর সরকারের করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৬ হাজার নার্স নিয়োগের তথ্যও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেকোন অবস্থা মোকাবেলা করে আমাদের চলতে হবে। করোনাভাইরাসের মধ্যে এলো আম্পান ঘূর্ণিঝড়, এরপর এলো বন্যা। একে একে সব মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে মানুষজন সেবা পাচ্ছে, আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য সচিবালয় প্রান্তে এবং পিএমও সচিব তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন কিন্তু, ‘সরকারের পক্ষ থেকেও আমরা যেমন দিচ্ছি আমাদের সচিবরাও নিজ নিজ এলাকার গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছেন এবং যার যেখানে সম্ভব সে সেভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে। কাজেই, আমার মনে হয়, আপনারাও এ বিষয়টা অবশ্যই দেখবেন মুজিববর্ষে একটি লোকও যেন গৃহহীন না থাকে। সেইসাথে প্রত্যেক ঘরে আমরা আলো জ্বালবো।’ জাতির পিতার কন্যা বলেছেন, ‘জাতির পিতা প্রদর্শিত পথই একমাত্র পথ, যে পথে দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে পারি।’

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়