নূর মোহাম্মদ: [২] এক বিচারপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের অবহিত না করেই কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজ থেকে তাদের কক্ষ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে দেওয়ার ঘটনায় তারা ক্ষমা চান। পরে ওই ঘটনায় আদালত অবমাননার বিষয়ে জারি করা রুলের আদেশের জন্য ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। একইসঙ্গে আদালত তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
[৩] বৃহস্পতিবার বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে বিচারপতি তার পরিবারসহ কিশোরগঞ্জের ইটনায় সফরে গিয়ে গত ২৯ অক্টোবর সার্কিট হাউজে ওঠেন। ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাদের সার্কিট হাউজ ছেড়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তার জন্য বরাদ্দ দেওয়া একটি কক্ষ খালি করে সেখানে অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলামকে দেওয়া হয়। এ কারণে বিচারপতির জিনিসপত্র সরিয়ে অন্য কক্ষে রাখা হয়। এসময় বিচারপতি ও তার পরিবারের কেউই সেখানে ছিলেন না।
[৪] পরে ওই বিচারপতি ঢাকায় ফিরে ১ নভেম্বর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। সেইসঙ্গে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সারোয়ার মোর্শেদ এবং এনডিসি মাহমুদুল হাসানকে তলব করেন। এছাড়া আদালত অবমাননার দায়ে সারওয়ার মার্শেদ চৌধুরী, শেখ রফিকুল ইসলাম এবং মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :