ইসমাঈল ইমু : [২] বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে বাঁশখালী সরকারি আলাওল কলেজ মাঠে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
[৩] র্যাব বলছে, উপকূলবর্তী মানুষ দীর্ঘদিন কতিপয় চিহ্নিত জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে জিম্মি। জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে উপকূল অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইবে।
[৪] র্যাব সদর দপ্তরের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ১১টি বাহিনীর ৩৪ জন জলদস্যু/ ডাকাত দল আত্মসমর্পণ করেছেন। যাদের এর আগে আত্মসমর্পণ করা সুযোগ ছিল না, তারাই এবার সুযোগ পাচ্ছেন। এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে এই উপকূল এলাকা জলদস্যু মুক্ত হবে।
[৫] র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, আত্মসমর্পণ করা এসব জলদস্যুর অধিকাংশের বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া অন্য মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হবে। তাছাড়া যারা জলদস্যু তৈরির পেছনে মাস্টারমাউন্ড হিসেবে কাজ করেছেন, সেসব মাস্টারমাইন্ডদের আমরা নজরদারিতে রেখেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।'
[৬] ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত র্যাব চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪৮ জন জলদস্যুকে আটক করে। উদ্ধার করে ৭৯৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮৮৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ। এছাড়াও ২০১৮ সালে ৪৩ জন জলদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :