শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২০, ০৪:৩৭ সকাল
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২০, ০৪:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাগুরার ‘বিস্ময় বালক’ ফাহিম মরা গেছেন

ডেস্ক রিপোর্ট: শারীরিক প্রতিবন্ধিতা জয় করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়া সাড়া জাগানো মাগুরার ‘বিস্ময় বালক’ ফাহিম-উল করিম মারা গেছেন। বাংলানিউজ২৪

বুধবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার সকালে ফাহিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দিনগত রাত পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডুচেনেমাসকিউলার ডিসট্রফি (ডিএমডি) রোগে ভুগছিলেন ফাহিম।

ফাহিমের বাবা রেজাউল করিম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার সব শেষ হয়ে গেছে। দেশের বাইরে নিয়ে ফাহিমকে উন্নত চিকিৎসার করাতে পারলে পুরোপুরি সুস্থ না হলেও শারীরিক অবস্থা কিছুটা হলেও ভালো হতো। কিন্তু অর্থের অভাবে আমি তা করতে পারিনি।

২২ বছর বয়সী ফাহিম বিরল এক রোগে গোটা শরীর অচল হয়ে যায়। সচল শুধু মাথা ও ডান হাতের দুটি আঙুল। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনেন তিনি। ফাহিমের কাজে খুশি হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাকে একটি ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন।

ফাহিম প্রতিবন্ধকতা জয় করে মেধার অদম্য শক্তি কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। অনেক যুবকের জন্য তিনি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। দৃঢ় মনোবল, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও মেধা কাজে লাগিয়ে ফাহিম সফল ফ্রিল্যান্সার হন। ২০১৬ সালে অন্যের সহযোগিতা, প্রাইভেট পড়িয়ে জমানো টাকা ও ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তিনি একটি ল্যাপটপ কেনেন। এরপর ইন্টারনেটে গুগল ও ইউটিউব ঘেঁটে বিভিন্ন কাজ শিখে নেন। ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটে ফাইবারে গিগ খুলে কাজ খুঁজতে থাকেন। ক’দিনের মধ্যে পাঁচ ডলারের একটি কাজ পেয়ে যান। অল্প সময়ের মধ্যে সফলভাবে কাজটি করার জন্য বায়ার তাকে আরও ১০ ডলার বোনাস দেন। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ফাহিমকে। প্রথমে ব্যানার ও বিজনেস কার্ড দিয়ে কাজ শুরু করলেও তিনি এখন সব ধরনের কাজই করে থাকেন।

কাজের দক্ষতার কারণে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সার ফাহিম বিশ্বের ৩০ থেকে ৩৫টি দেশের কাজ করতেন। অর্ডার এত বেশি যে, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেও কাজ শেষ হয় না। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে গত চার বছর ধরে ফাহিম মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে আয় করেছিলেন। তার উপার্জনে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়