দেবদুলাল মুন্না:[২] এ তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ প্রকাশিত ‘ফাইটিং ফর ব্রেথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রণীত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড এপিডেমিওলজি এস্টিমেশন গ্রুপের (এমসিইই) অন্তবর্তীকালীন হিসাবের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে ইউনিসেফ। ২০১৮ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে হিসাবে দেশে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে একজন শিশু মারা যাচ্ছে নিউমোনিয়ায়, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। তবে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, এ হার গত দুইবছরে কমেছে।
[৩] এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু তালহা বলেন, অপুষ্টি, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা, অসচেতনতা—এসব কারণেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না নিউমোনিয়া। তবে শিশুদের নিয়মিত টিকা দান, ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে পারলে নিউমোনিয়া অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। যদিও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে এ রোগটির ঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা, আবার মারা যাওয়া শিশুর হারও কম নয়। মূলত শহরাঞ্চল, বস্তি এলাকায় এ রোগের ঝুঁকি বেশি।
[৪] ২০১৯ সালের ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী গত বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মারা গেছে আট লাখেরও বেশি মারা গেছে। আজ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস।
আপনার মতামত লিখুন :