নিউজ ডেস্ক : [২]প্রতিটি নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রতিরোধ গড়ার হঙ্কার দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ খালি মাঠে গোল দিয়েছে। এ অবস্থার অবসানে বছরের শুরুতে ঢাকা সিটি নির্বাচনের পর নির্বাচন কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের আলোচনা শুরু করে বিএনপি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ মতানৈক্যের কারণে গঠন হচ্ছে না এই কমিটি।
[৪]বিএনপির নীতি-নির্ধারনী ফোরাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, নির্বাচন কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বিএনপি। এর কারণ হচ্ছে, প্রতিটি নির্বাচনের আগে গণসংযোগ থেকে শুরু করে নির্বাচনী সব কার্যক্রম প্রত্যাশার অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হলেও নির্বাচনের দিন কেন্দ্র থাকে একবারে নেতাকর্মীশূন্য। ফলে শেষ ভালো হয়ে উঠে না। প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের বাধায় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে পারেনি বলে অভিযোগ করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শেষ করে দল। একের পর পরাজয়ের পর কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট প্রবেশ করতে না পারার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করেছে বিএনপি। এতে বেরিয়ে এসেছে, সব জায়গাতেই বাধা নয় বরং নিজেদের গাফিলতির কারণেও অনেক স্থানে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো বিএনপি নেতাকর্মীশূন্য থাকে। এ জন্য কাউকে জবাবদিহি করতেও হয় না। এ অবস্থার অবসানের জন্য নির্বাচন কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের দাবি উঠেছে বিএনপিতে।
বিএনপি সূত্রমতে, গত মার্চ মাসে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব আসে ঢাকা সিটি নির্বাচনের বিএনপির দুই মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের কাছ থেকে। তরুণ এই দুই নেতা এ ব্যাপারে নিজেদের ধারণাও দেন। পরবর্তীতে দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারাও এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন। এসব আলোচনায় কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির ধরনসহ বিভিন্ন দিক সামনে আসে। প্রাথমিক আলোচনায়, ঢাকা মহানগরের প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এসব কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি হবে শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই কমিটির প্রধান স্থানীয় অবস্থার বিচেনায় স্থায়ী কমিটির সদস্যও হতে পারবে। মূলত এই কমিটি শুধু নির্বাচনের সময় কাজ করবে। কমিটির কাজ হবে, গণসংযোগে প্রার্থীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, স্থানীয় প্রভাবশালী কর্মীদের দিয়ে পোলিং এজেন্ট ঠিক করা, মামলাসহ নানা বাধায় কিছুু কর্মী ছিটকে যেতে পারে, তাদের বিষয় বিবেচনায় এনে একাধিক পোলিং এজেন্টের তালিকা প্রস্তুত করা, ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতে কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে যাওয়া, ভোটার তালিকায় ত্রম্নটি দলীয় কেন্দ্রে জানানো ইত্যাদি। এসব দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে নির্বাচন-পরবর্তী সময় কেন্দ্রের কাছে এর জবাবদিহি করতে হবে। সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন এখন বিএনপির জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। বিগত সময় আসলেই নানা বাধায় নির্বাচনের দিন বিএনপি নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারত না। পরবর্তীতে বাধার আশঙ্কায় কর্মীরা কেন্দ্রে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে কারও কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় এ অবস্থার অবসানও হচ্ছে না। এ জন্যই কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করলে এই দায়িত্বে যারা থাকবেন, তারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়বেন। এমন আশঙ্কায় দলের সিনিয়র অনেক নেতা এই কমিটি গঠনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সঙ্গত কারণে আটকে আছে এর বাস্তবায়ন।
কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিষয়টি আলোচনা পর্যায়েই রয়েছে। যায়যায়দিন
আপনার মতামত লিখুন :