শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২০, ০৫:৩৩ সকাল
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২০, ০৫:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনের হারের পরও ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা!

অনলাইন ডেস্ক: ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালের ৮ মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির নীতি গ্রহণ করে। এখনো তারা কিছুদিন পরপরই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েই চলেছে। সময় টিভি অনলাইন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরাজিত হলেও তিনি ইরানের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের সামরিকবিষয়ক একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত একটি ক্রয় প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে ইরানের সামরিক ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর পণ্য কেনার সঙ্গে যুক্ত মোট ছয়টি কোম্পানি ও চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, মার্কিন সরকার অনেক আগেই ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্প এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মার্কিন সরকার নতুন করে ইরানের যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছে। ওয়াশিংটন বলেছে, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে দেশটির টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ২০০৮ সালে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১০ সালে ইরানের টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তেহরানের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নীতি অব্যাহত রাখার গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি এটাকে নিজের পক্ষে প্রচারণার কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প আর মাত্র দুই মাস যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে কয়দিন ক্ষমতায় থাকবেন সেটাকে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করবেন। এমনকি প্রতি সপ্তাহে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি চিন্তাভাবনায় রয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন এবং দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অন্যান্য সব নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু এ দুটি ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লজ্জাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এতো ব্যর্থতার বোঝা কাঁধে নিয়েও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে ইরানের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন। বার্তা সংস্থা অ্যাক্সিওস’র ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্প সরকার যে কয়দিন ক্ষমতায় আছেন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বন্যা বইয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এমনভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে যাতে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ না থাকে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে এবং ইরান প্রতিরোধমূলক অবস্থান ধরে রেখেছে। ওমানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হায়দার বিন আলী উল্লাহ ওয়াতি এ ব্যাপারে বলেছেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে ইরানের প্রভাব এ অঞ্চলে দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাস্তবতা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত দুই বছরে ইরানের বিরুদ্ধে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই যা তিনি চাপিয়ে দেননি ফলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সূত্র: পার্স টুডে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়