শাহীন খন্দকার: [২] মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুনীরুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, হাসপাতালটিতে অতিরিক্ত সিটের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে কাউকে ফ্লোরিং করতে হয় না। তবে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ, আরও কয়েকজন ডাক্তার এবং নার্সের পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলে, রোগীদের বেশি সেবা দেয়া যাবে।
[৩] এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে ৩২৩ জনের আর সিজার হয়েছে ৩শ জনের। এ হাসপাতালে কেবিন চার্জ মাত্র ২শ টাকা এবং প্রতিদিনের খাবার বাবদ মাত্র ১২৫ টাকা নেওয়া হয়। তবে সাধারণ রোগীদের কাজ থেকে কোনো ধরনের চার্জ গ্রহণ করা হয় না।
[৪] হাসপাতালটিতে কিছু যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। যেমন, বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর তার নিবিড় পরিচর্যার জন্য ওয়ারমার মেশিন ও ফটোথেরাপি মেশিনের ঘাটতি রয়েছে। তবে করোনার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইড লাইন মেনে প্রসূতি মায়েদের প্রসব সম্পন্ন করা হচ্ছে। অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ভর্তির পূর্বে করোনাভাইরাসমুক্ত করে প্রসব করানো হচ্ছে, যা মার্চ মাস থেকে শুরু হয়েছে।
[৫] দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভিআইপি ও ভিভিআইপিরাও তাদের আত্বীয়-স্বজন নিয়ে আসছেন, তারা নিরাপদে সন্তান প্রসব করছেন, কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত ৮ জন ডাক্তার, ৩জন নার্স, এফডাব্লিউবি ৬জন সহ মোট ৩০জন স্টাফ কাজ করছেন।
[৬] এ হাসপাতালটিতে স্কয়ার, ল্যাবএইড হাসপাতালের থেকে খরচ অনেক কম। হাসপাতালটির ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখটা জুড়িয়ে যায়। বড় মাঠ, গাছ-গাছালিতে ভরা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনোরম পরিবেশ। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা রোগীদের কোনো ভোগান্তি নেই।
আপনার মতামত লিখুন :