লিহান লিমা: [২] বুধবার হংকংকের প্রশাসন বিরোধী দলের চার আইনপ্রণেতাকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে। এর কিছুক্ষণ আগে চীনের পার্লামেন্টে পাশ করা এক আইনে হংকংয়ের প্রশাসককে আদালতের অনুমতি ব্যতীতই আইনপ্রণেতাদের বরখাস্ত করার অধিকার দেয়া হয়। সিএনএ
[৩] বেইজিংয়ের পার্লামেন্টের এই রেজ্যুলেশনে বলা হয়, ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করলে হংকংয়ের প্রশাসন আইনসভার সদস্যদের অযোগ্য ঘোষণা করতে পারবেন। এই রেজ্যুলেশন পাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই হংকংয়ের প্রশাসন ঘোষণা দেয়, ‘আলফিন ইয়েং, ডেনিস ওক, ওক কা-ডশ এবং কেনেথ লিউং খুব শীঘ্রই আইনসভায় নিজেদের যোগ্যতা হারাবেন।’
[৪] চার রাজনীতিবিদ সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের পদচ্যুতি নিশ্চিত করেন। ডেনিস ওক বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই সাংবিধানিক আইনের লঙ্ঘন এবং অবৈধতা।’ এর আগে হংকংয়ের বিরোধী দলের ১৯জন লেজিসলেটর বলেছেন, লেজিসলেটিভ কাউন্সিল থেকে কাউকে বহিস্কার করা হলে তারা সবাই একযোগে পদত্যাগ করবেন।
[৫] হংকংয়ে বেইজিং-পন্থী কমিটিই প্রশাসক নির্বাচিত করে। লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের ৭০টি আসন সরাসরি নির্বাচিত করা হয় বাকি অর্ধেক আসন নির্বাচিত করতে হংকংয়ের ৭৫ লাখ অধিবাসী ভোট দিতে পারেন। তাই হংকংয়ের আইনসভায় চীন-পন্থীরাই মূলত আইন নির্ধারণ করেন।
[৬] হংকংকে ব্রিটিশদের কাছ থেকে গ্রহণ করার পর চীন অঞ্চলটির ৫০ বছরের আধা-স্বায়ত্ত শাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছিলো। কিন্তু দিন দিন হংকংয়ের ওপর চীনের দমন-পীড়ন বাড়ছে। এ বছরের জুলাইতে চীন বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন পাশ করে। এই আইনে হংকংয়ে চীন বিরোধী কার্যকলাপ, গণতন্ত্র-পন্থী বিক্ষোভ, ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :