তপু সরকার: [২] শেরপুর পৌরসভা গঠিত তফসিল ঘোষণা করা না হলেও শেরপুর পৌরসভায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মেয়র, সাধারণ এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন। তবে জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতে ইসলামীর কেউ এখনো প্রচার-প্রচারণা শুরু করেনি।
[৩] সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানসহ পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের সমর্থকরা শহরে ব্যানার, বিলবোর্ড ও পোস্টার সাঁটিয়েছেন। মটরসাইকেল নিয়ে শো-ডাউন এবং নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে ফেসবুকেও চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর পৌর সভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, আগামী নির্বাচনেও দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি ইতোমধ্যে তিনি আওয়ামী লীগের সর্বশেষ বিশেষ বর্ধিত সভায় নিজের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ারুল হাছান উৎপল, ও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শিল্পপতি আনিসুর রহমান ও শ্রমিক নেত আরিফ রেজা।
[৫] জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র এডভোকেট আব্দুল মান্নান, জেলা বিএনপির ১নং –সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক এ বি এম মামুনুনর রশিদ (পলাশ) সাধারণ সম্পাদক, ও সাবেক ছাত্র নেতা ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু-রায়হান (রুপন) এবং জেলা বি এনপির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাছানুর রেজা জিয়া ও স্বতন্ত্র মাওলানা কামারুজ্জামান মেয়র পদে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
[৬] শেরপুর পৌর সভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। ইতোমধ্যে শেরপুরের গণ মানুষের নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ বারের নির্বাচিত এমপি এবং সংসদের সম্মানিত হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের একটি মিটিংয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে দলের কাছে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তৃণমূলের নির্বাচনের মতামতের ভিত্তিতে নাম বাছাই হতে পারে এবং তার পক্ষেই দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
[৭] জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র এডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করবে। আমরা প্রত্যাশা করি জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসব মুখরভাবে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
[৮] স্বাধীনতা উত্তর কালে ১৯৭৩ সালে দেশে নতুন সংবিধানের বিধান অনুসারে প্রথম অনুষ্ঠিত শেরপুর পৌর নির্বাচনে পৌর ভোটারদের সরাসরি ভোটে প্রবীণ জননেতা ‘‘খন্দকার মজিবর রহমান’’ চেয়ারম্যান এবং ছাত্রনেতা ‘‘আমজাদ হোসেন’’ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে ৪০টি ভোট কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার ৩৬৯৮৬ এবং ৩৯১৭৭ মহিলা ভোটার সব মিলিয়ে ৭৬১৬৩ ভোটারে ৯টি সাধারণ ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা ওয়াড্র্ নিয়ে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :