সৌমিত জয়দীপ: একটা হাসপাতাল যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের জন্যই কাজ করে, তাহলে সেই হাসপাতালে কর্মরত সকলেরই এই প্রস্তুতি থাকতে হবে, যেকোনো রোগীই অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন। বিশ্বাস করি না, তবুও ধরে নিলাম, সদা হাস্যোজ্জ্বল শিপন ভাই অস্বাভাবিক আচরণ করেছেন। তাই বলে হাসপাতাল তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে!
প্রিয় জাহাঙ্গীরনগরের ভাই-বোনেরা, একটা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু তার শিক্ষার্থী বা অ্যালামনাইয়ের জন্য আওয়াজ তুলবে না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব আসলে আরও বড়। শুধু শিপন হত্যকাণ্ড নয়, আমাদের কথা বলতে হবে রাষ্ট্রের প্রতিটি অসংগতি ও বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে। সেখানে একজন শিপন কখনো মেজর সিনহা, কখনো আবরার, কখনো বিশ্বজিৎ, কখনো জুবায়ের কখনো ইয়াসমিন, কখনো নুসরাত, কখনো তনু, কখনো কল্পনা চাকমা, কখনো রিফাত শরীফ, কখনো রায়হান হয়ে যান! এ ভয়ঙ্কর মারদাঙ্গা খুনি রাষ্ট্র না বদলালে শিপন এবং আমাদের কারও মুক্তি নেই, মুক্তি নাই!
আপনার মতামত লিখুন :