মুনশি জাকির হোসেন: অর্থনীতি/উন্নয়ন/শিল্পায়ন যখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় তখন সেটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। চীনা অর্থনীতিতে এখন সেই স্বর্ণযুগ চলছে। বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, জুবুথুবু অবস্থায় নিপোতিত তখনও চীনা পণ্য বিশে^র এক অনিবার্য অনুসঙ্গ হয়ে আছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে পরিবহন, আমদানি-রপ্তানি রীতিমতো স্থবির। এই সময়েও চীন করোনাভাইরাসের মাস্ক তৈরি করে বিশে^ রপ্তানি করছে। অথচ এই চীনেই করোনা ভাইরাসের শুরু। যেখানে করোনা ভাইরাস শুরু, সেখান থেকেই কোটি কোটি ডলারের মাস্ক রপ্তানি হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন অজুহাতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় শূন্য। বিশে^র বিভিন্ন দেশে প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশি আছে যাদের খাদ্যাভাস এখনো শতভাগ বাংলাদেশি পণ্য নির্ভর। যেখানে চাল, ডাল, মাছ, মুড়ি, চিড়া, চানাচুর, কাঁচা মরিচ, পিঠা, বিস্কুট, একরকম শত শত পণ্য আছে যা বাংলাদেশ থেকে অপ্রচলিত রপ্তানি পণ্য হিসেবে আসে।
এই সকল অপ্রচলিত রপ্তানি খাত গড়ে উঠেছে শতভাগ ব্যক্তি উদ্যোগে। এখন বিভিন্ন দেশে দেশি শপ গুলোতে এই সকল পণ্যের স্টক প্রায় শেষ। এই সকল পণ্য বাংলাদেশ থেকে গত ৬ মাসে রপ্তানি হয়নি। একদিকে বাংলাদেশে কর্মসংস্থান, অন্যদিকে বৈদেশে বাংলাদেশি শপগুলোর ব্যবসা মন্দা। এখানে সরকার কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও অর্থমন্ত্রী মাঝে মাঝে গুহা থেকে বের হয়ে এসে কিসব বলে আবার গুহায় প্রবেশ করে শীতনিদ্রা করে। বাংলাদেশের সবকিছুই শেখ হাসিনা নির্ভর। এই দেশের অর্থনীতি/উন্নয়ন/শিল্পায়ন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি থেকে এখনও সহস্র মাইল দূরে। সমস্যা হলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক সঞ্চালন ব্যক্তির প্রস্থানের পরেই শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশ এখন সেই ঝুঁকির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :