সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শকে ধারণ করে বিএনপির জন্ম। তাদের কাছে গণতন্ত্র ছিল, ‘হ্যাঁ ও না’ ভোটের গণতন্ত্র।
[৩] তিনি বলেন, বিএনপিকে চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ষড়যন্ত্র আর পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি তাদের পরিহার কার উচিত। আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হই।
[৪] কাদের বলেন, সেদিন নূর হোসেনের শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার। তার বুকে ও পিঠে লেখা স্লোগানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল স্বৈরাচারের পতন এবং গণতন্ত্র মুক্তির প্রতিধ্বনি। পুলিশের গুলিতে ক্ষত-বিক্ষত শহীদ নূর হোসেনের দেহে লিপিবদ্ধ রক্তস্নাত স্লোগান রণধ্বনি পৌঁছে গিয়েছিল বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে, প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে শহীদ নূর হোসেনের রক্তাক্ত ছবি গণতন্ত্রকামী বাঙালির মনে সাহস আর সংগ্রামের বহ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিয়েছিল। নূর হোসেন হয়ে উঠেছিল সাহসের প্রতীক, গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী একজন বীর যোদ্ধা। বন্দি গণতন্ত্র শৃংখল মুক্ত হয়েছে নূর হোসেনের রক্তে। গণতন্ত্র মুক্তি পেলেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান হোক এবারের নূর হোসেন দিবসের অঙ্গীকার।
[৫] ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী প্রজন্মের মনে ৩০ লাখ শহীদের আকাঙ্খার অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে সত্যিকারের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।
[৬] মঙ্গলবার শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর গুলিস্তানে নুর হোসেন চত্বরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :