শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খান আসাদ: আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতির গল্প

খান আসাদ: মরুভূমিতে জন্ম নেওয়া ভদ্রলোকের মনে বহুঈশ্বর নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। শৈশবে তার বেড়ে ওঠা বহু ঈশ্বর ধারনার সমাজে। তিনি অনুসন্ধান করছিলেন, ঈশ্বর সম্পর্কিত জ্ঞানের। এই যে নানা দৃশ্যমান ঈশ্বর আছেন, এর পেছনে সবার উপড়ে কী আর একজন পরমেশ^র আছেন? এই ভাবনা তাকে অনুসন্ধানে ব্রতী করে। সে ধ্যানে বসে। সংজ্ঞা দিয়ে জানতে পারে, বহু ঈশ^র ধারণা মিথ্যা, সত্য হচ্ছে ঈশ্বর একজনই। সে এই ঈশ্বরের সাথে কথা বলা শুরু করে। ঈশ্বর তাকে বলেন, একেশ্বরবাদী ‘সত্য’ সবাইকে জানাতে হবে। সে তার জীবনের ব্রত বা মিশন জেনে যায়। জীবনের ব্রত হচ্ছে বহু ঈশ্বরের বদলে একেশ্বরবাদের প্রচার। তিনি নিজে এই প্রচারকারী। তিনি প্রচার শুরু করেন। তার গোত্রের ক্ষমতাবানেরা এটা পছন্দ করেন না। ইতোমধ্যে প্রচারের ফলে তিনি কয়েকজন অনুসারীও পেয়ে যান। একদিন দেখা যায় তার অনুসারী একজনকে খুন করা হয়েছে। তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি একজন ক্ষমতাবান আত্মীয়ের কারণে বেঁচে যান। এই আত্মীয়ের মৃত্যুর পর তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার আর কেউ থাকে না। জীবনের ভয়ে তিনি পালান। নিজের ইচ্ছেয় নয়। অন্যরা তার প্রতি সহিংস, এইজন্য। তিনি পালান আত্মরক্ষার জন্য। তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন, কিন্তু আক্রমণের শিকার হতে থাকেন। আত্মরক্ষার জন্য তিনিও লড়াই করেন এবং জিতে যান। এই প্রক্রিয়ায় তিনি স্থানীয় ক্ষমতা ও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার জীবনের ব্রত ছিলো একেশ^রবাদ প্রচার। যদি তাকে তা করতে দেওয়া হতো, কোনো যুদ্ধ হতো না। রাজনীতির সাথেও তার জড়ানোর কোনো প্রশ্ন ছিলো না। রাজনীতিতে জড়ানো তার কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না। ব্যাপারটা ছিলো প্রতিক্রিয়া মাত্র। এরপর তার অনুসারীরা কে শাসক হবে, এই নিয়ে রাজনীতি শুরু করে এবং নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি শুরু করে। রাজনীতি তাদের বিভক্ত করে প্রধান দুই দলে। রাজনীতি করতে গিয়ে এরা নানা আইন কানুনের জন্মদেয়, যার ফলে আরও অনেক দলে বিভক্ত হয়।

একসময়, ধর্ম মানেই রাজনীতি, এই শিক্ষা দিয়ে তরুণদের জঙ্গি বানানো হয়। রাজনীতিকে ‘ধর্মীয়’ বলে যুক্তি দেওয়া হয় যে ইতিহাস উল্লেখ করে, সেই ইতিহাস পড়লেই জানা যায় যে, ভদ্রলোকের মিশন বা ব্রত ছিলো আধ্যাত্মিক বা পারলৌকিক। সে যে রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছিলো, সেটি তার ইচ্ছেয় ঘটেনি, ঘটেছে অন্যদের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায়। অন্যরা সহিংস না হলে, তার বিশ্বাস প্রচারের সুযোগ দিলে, সে কেবল বিশ্বাসই প্রচার করতো। ফলে তার যুদ্ধ বা রাজনীতি করা অনিবার্য ছিলো না। যুদ্ধ বা রাজনীতি তার মিশন বা ব্রত ছিলো না। দশচক্রে ভগবান যেমন ভূত হয়ে যায়, ধর্মের গল্পও তেমনই রাজনীতির গল্প হয়ে যেতে পারে। এটি ঘটে ধুর্ত রাজনীতিবিদেরা ও ধর্মজীবীরা যখন ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ও রুটি রুজির নিশ্চয়তা চায়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়