বেলায়েত হোসাইন : কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের বন্দ ডাকপাড়া এলাকার পপুলার গ্যাস্টোলিভার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের আয়া বনি (৩৫)। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে নিজের কাজের পাশাপাশি তিনি করতেন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন। সোমবার ( ৯ নভেম্বর) এক নারীর গর্ভপাত অপারেশন (ডিএনসি) করানোর সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মঈনূল আহসান ও কেরানীগঞ্জ নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথের সমন্বয়ে এ অভিযানে ভুয়া ডাক্তার সেজে অপারেশন করার অপরাধে বিনু (৩৫) কে এক বছরের জেল ও মালিক আব্দুল গফুর (৫৫) কে ৪ লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান এবং হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।
জানা যায়, হাসপাতালটির মালিক আব্দুল গফুর কেরানীগঞ্জ ডায়াগনষ্টিক মালিক সমিতির একজন সদস্য ও কেরানীগঞ্জ ঔষধ মালিক সমিতির সভাপতি।
সোমবার দুপুর আড়াইটায় পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মঈনুল আহসান। তিনি জানান, হাসপাতাল পরিচালনা ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র সরকারি অফিসে জমা দেওয়া প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানটির মালিক আব্দুল গফুর তা জমা দেননি। হাসপাতালের লাইসেন্স নেই। নেই কোনো রক্ত সঞ্চালন ট্রান্সমিশন যন্ত্র। এ ছাড়া গত দেড় বছর ধরে হাসপাতালটির আয়াকে দিয়ে বহু অপারেশরা করানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, ‘নন-টেকনিক্যাল একজন আয়াকে ডাক্তার সাজিয়ে আগে বহু অপারেশন করানো হয়েছিল। আজও তিনি এক রোগীর গর্ভপাতের (ডিএনসি) অপারেশন করছিলেন। আমরা তাকে হাতেনাতে ধরেছি।’
অমিত আরও বলেন, ‘হাসপাতালে অপারেশন একজন চিকিৎসকের করার কথা। এভাবে আয়াকে দিয়ে অপারেশন করালে যেকোনো সময় প্রাণ হানিরঘটনা ঘটতে পারে। আমরা ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের শাস্তি দিয়েছি। আমাদের এমন অভিযান চলমান থাকবে।’
আপনার মতামত লিখুন :