আহমেদ শামীম: [২] সোমবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসপি ফরিদউদ্দিন এ তথ্য জানান।
[৩] তিনি বলেন, সিলেট জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে সোমবার সকাল ৯টায় আকবরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশের কাছে খবর আসে আকবর ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। এ খবর পেয়েই কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
[৪] এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা মানুষের সহযোগিতা নিয়ে তাকে ধরেছি। ভারতে কে, কেন, কিভাবে ভিডিও করেছে আমরা জানি না। তবে আকবরকে গ্রেপ্তারে আমাদের কিছু বিশ^স্ত বন্ধু আমাদের সহযোগিতা করেছে। আকবরের সহযোগি নোমানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
[৫] আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে পিবিআই’র কাছে আকবরকে হস্তান্তর করা হবে একথাও বলেন এসপি।
[৬] সংবাদ সম্মেলননে ডিআইজি মফিজ উদ্দিনও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, অপরাধ করে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধী যেই হোক, যে বাহিনীর-ই হোক তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
[৭] এসপি আরো বলেন, যথাযথ শাস্তির উদ্দেশ্যে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পাদন করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা করা হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইশৃঙ্খলাবাহিনী এটাই প্রমাণ করেছে, আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তাকে অবশ্যই বিচার পেতে পবে।
[৮] সিলেটের শান্তিপ্রিয় মানুষের উদ্দেশ্য করে এসপি বলেন, আপনারা জানেন যে, এমসি কলেজের ঘটনায়ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আকবরকে গ্রেপ্তার করে তা আরো পরিষ্কার হয়েছে। ভবিষ্যতেও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ধারা অব্যাহত থাকবে।
[৯] আকবর পালানোর সাথে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে বা কারো গাফিলতির প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :