ইসমাঈল ইমু : [২] রাজধানীর কোতয়ালী, বংশাল ও চকবাজার থানা এলাকার আলোচিত সেই পুলিশের লাইনম্যান ও সোর্স মেহেদী আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার চাঁদাবাজিতে এলাকাবাসি অতিষ্ট। থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না এলাবাসি।
[৩] মেহেদীর বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহাপরিচালক (র্যাব), ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রয়েছে অর্ধশতাধিক অভিযোগ।
[৪] জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম কুদ্দুস মাঝি। নিজ এলাকায় ভাঙ্গারী কুদ্দুস নামে পরিচিত। তবে মেহেদী হাসান তার ছদ্ম নাম। এই ছদ্ম নাম দিয়ে চাঁদা তোলার দায়ে কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে যায়। এ মামলায় বেশ কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে আবার এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলবাজি শুরু করেছে।
[৫] সম্প্রতি সাংবাদিক পরিচয়ে দ্বিগুণ চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ রযেছে। এছাড়া প্রভাব খাটিয়ে বাবুবাজার ব্রিজের নিচে জায়গা জোরপূর্বক দখল করে ১৪টি টং দোকান বসিয়ে দোকান প্রতি দৈনিক ৩শ টাকা করে চাঁদা তুলছে। অপরদিকে বড় ট্রাক ও কন্টেইনার পার্কিং করিয়ে প্রতিবারে ৬শ টাকা থেকে ২ হাজার পর্যন্ত আদায় করছে। এসব চাঁদা গৌতম, জসিম, সজল ও সোহেলকে দিয়ে তুলছে।
[৬] এ বিষয়ে বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, তখন তিনি দায়িত্বে ছিলেন না।
আপনার মতামত লিখুন :