এএইচ রাফি: [২] পারভেজের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের আদালতে ৫জনের নাম উল্লেখসহ ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। পারভেজ জেলা সদরের খয়াসারের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। রোববার বিকেলে মামলার আদেশে আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
[৩] সোমবার দুপুরে মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল জানান, মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে মৃত পারভেজ জরিনা খাতুনের একমাত্র ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত খয়াসারের কালু মিয়ার তকদীর সেনিটারি দোকানে পাইপ ফিটার মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
[৪] মামলায় আসামি করা হয়েছে, জেলা সদরের খয়াসারের কালু মিয়া (৫২), তার ছেলে জীবন মিয়া (৩৩), মেয়ে সাথি আক্তার (২৮), স্ত্রী রওশেনা বেগম (৪৭) ও মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ইদন মিয়া (৪৮)।
[৫] পারভেজ তার বেতন ও কাজের মুনাফার অংশ প্রায় ৬-৭লাখ কালুর কাছে পাওনা হয়। এই টাকা কালু ও তার ছেলে জীবনের কাছে চাইলে, তা নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। কিছুদিন পূর্বে পারভেজ ও তার মা জরিনা খাতুন কালুর বাড়িতে গেলে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়। গত ৫ নভেম্বর রাত ৮টায় টাকা দেওয়ার নাম করে ফোন করে পারভেজকে নেয়, সেখানে তাকে লাঠি ও পাইক দিয়ে মারধোর করে। পরে সেখান থেকে পালিয়ে এসে তার মা ও স্থানীয় কয়েকজনকে ফোনে সব ঘটনা বলে। এরপর থেকে পারভেজকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন ৬ নভেম্বর সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন, পারভেজ তার ফেসবুক আইডি Djparvez khan থেকে লাইভে কিটনাশক খেয়ে ফেলেছে। এই খবর পেয়ে তাকে খুঁজে বের করে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ৮ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন পারভেজের মা জরিনা খাতুন।
[৬] এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন জানান, এই সংক্রান্ত মামলার কাগজপত্র আমরা এখনো পায়নি। হাতে কাগজ পেলে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তদন্তের পর আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :