আশরাফ রাজু ও মহসীন কবির : [২] সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যার নেপথ্যে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (বরখাস্তকৃত) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের একটি দল তাকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
[৩] বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান । তিনি জানান, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
[৪] প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে। এরপর পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায়।
[৫] গত ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য নির্যাতন করা হয় রায়হানকে। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশের বিরুদ্ধে তার স্বামীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ করেন তিনি। এরপর থেকেই এসআই আকবর গা ঢাকা দেন।
[৬] পরে পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন- কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌওহিদ মিয়া ও কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী, কনস্টেবল সজিব হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :