সুব্রত বিশ্বাস: ঘুরে ফিরে সেই দুই ক্ষমতাবানের একজন বারবার, মার্কিন রেজিমের ভিত্তিই হল ইলেক্টোরাল কলেজ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যানের বাইরে অন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লিবার্টারিয়ান পার্টি মিসেস যো এবং গ্রিন পার্টির মিস্টার হাওয়াই,আরো অনেক প্রার্থী। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিক্যানের বাইরে কোনো মিডিয়া হাইলাইট করে না, স্টোরি ছাপায় না এবং টিভি বিতর্কেও প্রার্থীকে ডাকা হয় না। সিস্টেম এক মহাত্রুটি। আমেরিকায় নির্বাচন ডেমোক্রেসি এক তন্ত্র, মহা ভাওতাবাজি, ইলেক্টোরাল এর জনকরা ভোটাররা আমেরিকার ক্ষমতাসীনকে নিয়ে আসে ক্ষমতাবানদের পক্ষে ডেমোক্রেসির নামে এক ভাওতাবাজি ।
ডেমোক্রেসির জন্য ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেম এক মহাত্রুটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পপুলার ভোটে জয় পাওয়া যায় না। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে জয়ী হতে হয়। এর অর্থ হলো ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে ইম্পর্ট্যান্ট, জয়-পরাজয়ে, এদিকে নির্বাচনে ‘প্রভিশনাল ভোটের’ সংখ্যা বেড়ে গেছে। নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ও জর্জিয়ায় ট্রাম্প শিবিরের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন স্থানীয় আদালতের বিচারকেরা। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার অঙ্গরাজ্যটির নির্বাচন ও এর ভোট গণনাপদ্ধতি নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আইনসভার পদগুলো পূরণ করা হতে পারে, কখনো আবার কার্যনির্বাহী ও বিচারব্যবস্থা ছাড়াও আঞ্চলিক এবং স্থানীয় সরকারে প্রতিনিধি বাছাইও নির্বাচনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার প্রয়োগ হয় বহু বেসরকারি সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও। ক্লাব বা সমিতি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কর্পোরেশন বা নিগমেও এই প্রক্রিয়ার ব্যবহার করা হয়।
একটি ব্যালট বাক্স আধুনিক গণতন্ত্রে প্রতিনিধি বাছাইয়ের উপায় হিসেবে নির্বাচনের সার্বজনীন ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ত্রুটি ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেম। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত এবং রাষ্ট্র ও কেন্দ্রীয় আইনের অধীনে একটি জটিল ব্যবস্থা। কেন এক একটি অঙ্গরাজ্য 'ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট' হয়ে ওঠে? আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় ‘রেড স্টেট’ বা ‘লাল রাজ্য’ আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ‘ব্লু স্টেট’ বা ‘নীল রাজ্য’। এবারের নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলো ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটস আমেরিকার নির্বাচনী ইতিহাসে দেখা গেছে এই স্টেটগুলোতে অনেক ভোটারই কোনো একটি দলের কট্টর সমর্থক নন। এই ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলোতে ভোট কোন্ দুর্গে যাবে তা যেহেতু বোঝা কঠিন তাই এই রাজ্যগুলোকে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যও বলা হয়, সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য নির্বাচনী সময়সূচির মধ্যে যেকোনো সময়ে এই ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্রে ভোটের অঙ্ক বদলে যেতে পারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :