সালেহ্ বিপ্লব: [২] প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং তাড়া দিয়েছেন এই প্রকল্পের কর্মকর্তাদের, দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৪ হাজার ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলারের এ প্রকল্পের আওতায় চীনের সিচুয়ান প্রদেশ থেকে তিব্বতের লিনঝি পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। ইয়ন নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
[৩] এই লিনঝি অঞ্চলটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশের খুব কাছাকাছি। শি জিংপিং বলেছেন, এই রেল নেটওয়ার্ক সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
[৪] রেলরুট শুরু সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডু থেকে। রেল চালুর ফলে চেংডু থেকে তিব্বতের লাসা পর্যন্ত যাওয়া যাবে মাত্র ১৩ ঘণ্টায়, যা আগে ছিলো ৪৮ ঘণ্টা। লাইনটি কিংঘাই-তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ পূর্ব অংশ দিয়ে যাবে, যে মালভূমিটি প্রচণ্ডভাবে ভূমিকম্পপ্রবণ।
[৫] চীন ও ভারতের সংঘাত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়েল কন্ট্রোল-এলএসি) নিয়ে। চীনের দাবি, ভারতের অরুণাচল প্রদেশ দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। যথারীতি ভারত জোরালো ভাবে এ দাবি অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু চীন তার বক্তব্যে অবিচল।
[৬] গেলো ১৩ অক্টোবর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখকে ভারতের অংশ বলে স্বীকৃতি দেবে না চীন। চীনের ভাষায়, বেআইনীভাবে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করেছে ভারত।
[৭] সাত মাস ধরে পশ্চিম লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষের পুরো চিত্রটা এখনও স্পষ্ট না হলেও ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের তুমুল অবনতি হয়েছে।
[৮] এই অবস্থায় ‘বিতর্কিত’ অরুণাচল প্রদেশের একদম নাকের ডগায় রেললাইন বসানোর বিষয়টি ভারত যে ভালোভাবে গ্রহণ করবে না, বলার অপেক্ষা রাখে না।
আপনার মতামত লিখুন :