আব্দুল হাই সঞ্জু: সাংবাদিকতায় পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার মতো গৌরব অর্জন না করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু ‘ফেইক নিউজ’ বিষয়ক আলোচনাটিকে বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই গণমাধ্যমের সাথে তার যুদ্ধাবস্থা ছিলো। বিদায়ের এই ক্ষণেও সেই যুদ্ধ তিনি অব্যাহত রেখেছেন। ফেইক নিউজ অতীতেও ছিলো, এখন ইন্টারনেটের কারণে আরও শক্তিশালী হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু সর্বাংশে ভুল কথা বলছেন না। নির্বাচনের আগে জনমত জরিপের ফলাফলকেও তিনি ফেইক নিউজ বলেছিলেন। নির্বাচনের ফলেও সেটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। সাংবাদিকতায় অবদান রাখার পাশাপাশি রাজনীতিতেও জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের, জনপ্রিয়তা কমার কারণে কিন্তু তার পরাজয় হয়নি।
এবার তিনি ৪০ লাখের মতো বেশি ভোট পেয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যারা ঘৃণা করেন, সে সকল মার্কিন নাগরিক বিপুল সংখ্যায় ভোট প্রয়োগের কারণেই ট্রাম্পের বউ মেলানিয়াকে এখন ব্যাগ গোছাতে হচ্ছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দাবার বোর্ডের গুটিগুলো বছরের পর বছর এক ঘর থেকে অন্য ঘরে না নেওয়ার কারণে সেগুলোতে মরিচা পড়ে গিয়েছিলো। তিনি বেশ কয়েকটি গুটির চাল দিয়েছেন। যদিও এসব গুটির চাল মুসলিম সম্প্রদায়ের পছন্দ হয়নি। তারপরও একটা অচলাবস্থা তিনি ভেঙেছেন। নতুন যারা আসবেন তারা সেখান থেকেই গুটির নতুন চাল দেবেন। সবকিছু মিলিয়ে গত চার বছর খারাপ যায়নি ট্রাম্পের। সামনের দিনগুলোতে নিজের ব্যবসা বাড়ানোর জন্যও এই চার বছর অনেক কাজে আসবে। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন অনেক বন্ধু বানিয়েছেন তিনি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :