শিরোনাম
◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২০, ০১:৪৯ রাত
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২০, ০১:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চাঁদপুরে শিশু মহিব হত্যা মামলায় চাচাসহ দুইজনের মৃত্যুদন্ড

চাঁদপুর প্রতিনিধি: [২] চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আপন ভাতিজা মো. মহিব (৭) কে খেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অপরাধে চাচা মো. জামাল হোসেন ও সহযোগী মো. সজীব আলমকে মৃত্যুদন্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। রোববার (৮ নভেম্বর) বিকেলে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ এস.এম জিয়াউর রহমান এই রায় দেন।

[৩] মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামাল মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোনা গ্রামের গোগন প্রধানিয়া বাড়ীর মুকবুল হোসেনের ছেলে এবং সজীব একই গ্রামের ওমেদ আলী বেপারী বাড়ীর মো. শহীদ উল্যাহর ছেলে। মামলার বাদী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামালের ছোট ভাই ও নিহত শিশুর পিতা মো. মাসুদ রানা। ঘটনার সময় তিনি প্রবাসে ছিলেন।

[৪] আদালত প্রাঙ্গনে আজকের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত শিশুর পিতা মাসুদ রানা জানান, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে তার ছেলে মহিব ঘোনা স্কুল মাঠে খেলতে যান। সন্ধ্যায় সে বাড়ী না আসলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ৪ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী ও ভাই জামালসহ (আসামী) গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

[৫] পরবর্তীতে মাসুদ রানাকে স্ত্রী ঘটনাটি জানালে তিনি দেশে এসে ৯ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথমে সজিবকে আটক করেন। সজবি আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে গিয়ে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।

[৬] মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন খেলার মাঠ থেকে মহিবকে ধরে নিয়ে চাচা জামাল ও সহযোগি সজীবসহ তার চায়ের দোকানে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তাজুল ইসলাম নামে ব্যাক্তির বাড়ীর সেপ্টি ট্যাংকিতে ডুকিয়ে রাখে।

[৭] পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ে মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহীম খলিল তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

[৮] আদালত দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর সময়ে ২৫জনের সাক্ষী গ্রহন করেন এবং মামলার সকল নথিপত্র পর্যালোচনা করে এই রায় দেন।

[৯] মামলায় সরকার পক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট রনজিত কুমার রায় চৌধুরী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহম্মেদ (অভি)। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, মো. মুরাদ হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আলী। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়