রাজু চৌধুরী: [২] এ ঘটনায় ধর্ষক মনির হোসেনসহ তার ৩ সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিউল আলম ও আছমা আক্তার দম্পতি লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাস খানেক আগে শহরের বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যান নিজ বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। সেখানে দু’জনের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে আছমাকে রেখে অন্যত্র চলে যান রবিউল। পূর্ব পরিচিত অভিযুক্ত ধর্ষক মনির, স্বামী রবিউল মতিঝর্ণায় আছে বলে ওই গৃহবধূকে খবর দিলে গত শুক্রবার মনিরের বাসায় আসেন তিনি।
[৪] শনিবার সকালে মনিরের স্ত্রী গার্মেন্টসে কাজে চলে গেলে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় গলায় ছুরি ধরে তাকে ধর্ষণ করে মনির। পরে মনিরের বাসা থেকে চলে যান তিনি। বিকেলে আবার ফেলে যাওয়া বোরকার জন্য এলে মনিরের সহযোগী কয়েকজন বখাটে যুবক তাকে অপবাদ দিয়ে মারধর করে সঙ্গে থাকা ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারপর অভিযুক্ত মনিরের সাথে বিয়ে দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু ওই নারী কৌশলে বের হয়ে যান এবং শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ওই নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন।
[৫] এরপর পুলিশ ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ভিকটিম আছমা মামলা করলে সত্যতা পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত মনিরসহ তার ৩ সহযোগী মাসুদ, সোহেল, দিদারকে গ্রেপ্তার করে এবং মনিরের বাসা থেকে একটি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান জানান, ভিকটিম ওই নারী মনিরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হবে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :