শিরোনাম
◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০২০, ০৪:৪২ সকাল
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০২০, ০৪:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘রাখের উপবাস’ পালন করছেন লোকনাথ ভক্তরা

সুজন কৈরী : [২] বিপদ-আপদ ও রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে লোকনাথ ভক্তরা ‘রাখের উপবাস’ ব্রত পালন করছেন। এই ব্রত ‘গোসাইয়ের উপবাস’ ও ‘কার্তিক ব্রত’ নামেও পরিচিত। তবে লোকনাথ ভক্তরা এটাকে গোসাইয়ের উপবাস হিসেবে মানে। গোসাইয়ের নামে করা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। ১৫ কার্তিকের পর মাসের বাকি সময়ের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এ ব্রত পালন করা হয়।

[৩] শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্বামীবাগের শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দিরে এই ব্রত পালন করেন ভক্তরা। কয়েকশ নারী-পুরুষ প্রদীপ, ধুপ, ফল, ফুল সামনে নিয়ে একাগ্রচিত্তে লোকনাথের আরাধনা করেন। লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দিরের সেবাইত এবং সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু পদ ভৌমিক বলেন, এই ব্রতের আগের দিন সংযম করতে হয়। তারপর উপবাস থেকে সন্ধ্যায় আগে ধুপ, প্রদীপ ইত্যাদি নিয়ে বসতে হবে। আরাধনায় বসে প্রদীপ জ্বলানোর সাথে সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিতে হয়। সংযম, মনেব্রত ও একাত্মচিত্তে লোকনাথকে ডাকতে হয়। প্রদীপ জ্বলা শেষ হলে মন্দির থেকে চালকলা দেয়া গয়। যা ভক্ত বা পুণ্যার্থীরা খান। অনেকে এই চাল রেখে দেন, বিপদ-আপদ আসলে খাবার জন্য।

[৪] এই ব্রত কীভাবে আসলো তার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ১৮৯০ সালের আগে নারায়ণগঞ্জের বারদীর ঘটনা। লোকনাথ বাবা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন। একদিন ভোর বারদী আশ্রমের আশপাশ দিয়ে লোকনাথ হাঁটাচলা করছিলেন, তখন দেখেন লাল পের পরা এক নারী মন্দিরের সীমানা অতিক্রম করছেন। যেই মন্দির অতিক্রম করেন ওই নারী, তখন লোকনাথ বললেন, ‘আমি তো এখানে আছি’। তখন তিনি দেখলেন কমলা মা যাচ্ছেন। তখন লোকনাথ বুঝতে পারেন, এখন একটা অঘটন ঘটবে। তখন গুটি বসন্তের প্রাদুর্ভাব ছিল। প্রচলিত সংস্কার অনুসারে লোকনাথ বললেন, ‘আপনি মন্দিরে যেতে পারবেন না, মন্দির আশ্রম এলাকার পাশ দিয়ে যান’। সেই পাশ দিয়ে বা নিম্নাঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে যান কমলা দেবী। নিম্নাঞ্চলে বাস করতো কিছু জেলে পরিবার, তারা বসন্তে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন প্রমাণ হয়, সাধনায় সিদ্ধিলাভ করলে দেবদেবতারা সাধকদের কথা মানে।
তখন আশ্রমের লোকজন বললেন, আপনি যখন থাকবেন না তখন আমাদের কী হবে? তখন লোকনাথ বলেন, ‘১৫ কার্তিকের পরের শনি ও মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পরে তোমরা ব্রত করবে’। সেই ব্রতের কেউ নাম দিলেন রাখের উপবাস, কেউ বলে গোসাইয়ের উপবাস, কেউ বলে কার্তিক ব্রত। এই তিন নামে আখ্যায়িত। লোকনাথ সম্প্রদায় এটাকে গোসাইয়ের উপবাস হিসেবে মানে। গোসাইয়ের নামে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।

[৫] এই ব্রত আগে বারদীতে হতো। সেখান থেকে এটা প্রচার হয়েছে। স্বাধীনতার পর স্বামীবাগের আশ্রমে এই আরাধনা শুরু করেছে। এখন সারাদেশেই লোকনাথের মন্দিরে এই ব্রত পালন করা হয়। অনেকে বাসায় বসেই ব্রতটি পালন করেন বলে জানান বিষ্ণু পদ ভৌমিক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়