সুজিৎ নন্দী: [২] গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেছেন, উন্নয়ন কাজের টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ জন্য চলমান সিন্ডিকেট প্রথার লাগাম টেনে ধরতে নেয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা। পাশাপাশি শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই টেন্ডার প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, বৈশ্বিক অতিমারী করোনা সংকটে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে স্থবিরতা নেমে এলেও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজে এর কোন প্রভাব পড়েনি। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রকৌশলী এবং অন্যরা তাদের দায়িত্ব¡ পালন করে চলেছেন। গতানুগতিক কাজের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবাসহ মেডিকেলের সকল স্থাপনা নির্মাণ কাজে ব্যস্ততম সময় পার করেছেন।
[৪] আশরাফুল আলম বলেন, তবে সবচে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দুর্নীতি রোধে এবং শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মসহ নানা অভিযোগে কিছুটা ইমেজ সংকটে ছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর।
[৫] তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির অন্যতম উৎস ছিল বড় বড় কাজের দরপত্র প্রক্রিয়া। তারই অংশ হিসেবে নিয়ম ভঙ্গ করে টেন্ডার ড্রপ, ভুয়া কাগজ দিয়ে বিল আদায়, কাজের মান বজায় না রেখে ইচ্ছামতো কাজ করে বিল আদায় চিরতরে বন্ধ হবে। তাছাড়া আছে সিন্ডিকেটের থাবা। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
[৬] জানা যায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরে টেন্ডার প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি হচ্ছে বলে গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক প্রতিবেদনে উঠে আসে। এর আগে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে গণপূর্তের কাজে দুর্নীতি বন্ধে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার সুপারিশ করে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তাছাড়া গত বছর আলোচিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে টেন্ডার কিং জি কে শামীমের গ্রেফতারের পর গণপূর্ত অধিদপ্তর অনেকের নাম আলোচনায় আসে। এ প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের শুরুতেই দায়িত্ব নিয়ে ইমেজ সংকট দূর করে গণপূর্তে গতি ফেরাতে উদ্যোগী হন প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম।
আপনার মতামত লিখুন :