বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১২ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে অক্টোবরে। শুধুমাত্র খাদ্য দ্রব্যের দাম বেড়েছে সাড়ে ৭ টাকা। আর সব মিলিয়ে গত ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
[৩] দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য ও খাদ্য বর্হিভুত মূল্যস্ফীতির হিসাবে পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। পাকিস্তানে খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে ৯ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম মূল্যস্ফীতি রয়েছে ভারতে। সেখানে গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৫ শতাংশ।
[৪] অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা বাজারে ছেড়েছে। আবার রেমিটেন্সও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুই হিসাবে বাজারে টাকার যোগান বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বন্যায় উৎপাদন কম হওয়ায় খাদ্যপণ্যের উৎপাদন কমে গেছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এটি আরও কত বাড়ে এখনি বলা যাচ্ছে না।
[৬] অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, মূল্যস্ফীতির তুলনায় ব্যাংকের আমানতের সুদের হার কমে গেছে। এভাবে চললে মানুষের সঞ্চয়ের আগ্রহ কমে যাবে। সঞ্চয় কমে গেলে বিনিয়োগ থেকে শুরু করে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষাখাতেও বিরুপ প্রভাব পড়বে।
[৭] গত কয়েকমাসে প্রধান কয়েকটি খাদ্যমূল্যের মূল্য বেড়েছে গড়ে ৫০ শতাংশ। চালের মূল্য বেড়েছে ১০ শতাংশ, আলুর মূল্য বেড়েছে ৫০, তেলের মূল্য বেড়েছে ১৫, টমেটো ৬০, পেঁয়াজ ৬০শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :