রাশিদ রিয়াজ : সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমের একটি প্লাটফর্ম লোকাল সার্কেলের সমীক্ষা বলছে ভারতে নগদ লেনদেন নেমে এসেছে অর্ধেকে। ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে এবং গুডস এন্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা জিএসটি এধনের লেনদেনকে আরো বাড়িয়েছে এবং কোভিডের কারণে তা আরো গতি পেয়েছে। ভারতের ৩’শ জেলায় ৪৫ হাজার মানুষের কাছে এ জরিপে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। এদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ পুরুষ ও ৩১ শতাংশ নারী। সমাজের বিভিন্ন স্তর, শহর ও গ্রামাঞ্চলে জরিপটি পরিচালিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল কি পরিমান নগদ লেনদেন হ্রাস পেয়েছে সে হিসাব বের করা। ১৪ হাজার ৭৩৮ জনকে প্রশ্ন করা হয় তারা বিনা রসিদে কি পরিমান নগদ লেনদেন করে থাকেন। তাদের ৪৮ শতাংশ জানান তারা মাসে ৫ থেকে ২৫ শতাংশ লেনদেন করেন বিনা রসিদে। ৩৪ শতাংশ জানান তারা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ লেনদেন করেন বিনা রসিদে এবং ১৪ শতাংশ বলেন তারা ৫০ থেকে শতভাগ লেনদেন করেন বিনা রসিদে। দি প্রিন্ট
গত বছর লোকাল সার্কেলের একই ধরনের জরিপে ২৭ শতাংশ জানান তাদের ৫০ থেকে শতভাগ লেনদেন বিনা রসিদে হয়ে থাকে। এবছর তা আরো ১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তার মানে অধিকাংশ লেনদেনই হচ্ছে বিনা রসিদে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায় ডিজিটাল লেনদেন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এধরনের লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ কোটি ৫৬ লাখ রুপি। গত ৫ অর্থবছরে ভারতের ডিজিটাল লেনদেনে প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫.১ শহতাংশ হারে। অর্থের পরিমানে এ বৃদ্ধি হচ্ছে ১৫.২শতাংশ হারে। গত অক্টোবর ইউপিআই ভিত্তিক লেনদেন ২০৭ কোটি সংখ্যার এক মাইলফলক অতিক্রম করে। জরিপে বেশিরভাগ অর্থ লেনদেন হচ্ছে মুদি ও গৃহস্থালি ধরনের। ১৫ হাজার ৩৭৬ জন জানান লেনদেনের ৩৯ শতাংশ ছিল মুদি ও ৩১ শতাংশ ছিল কর্মীদের বেতন বাবদ। এধরনের লেনদেনে উভয়পক্ষ কোনো রসিদ আশা করেন না।
সমীক্ষায় ১৫ হাজার ৪৯২ উত্তরদাতা জানান ৩৮ শতাংশ মনে করেন সব মন্ত্রী ও সরকারি চাকুরের সম্পদের হিসাব দেয়া নিশ্চিত করতে পারলে কালোটাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। ৩৩ শতাংশ মনে করেন সম্পদের হিসেব আধার কার্ডে সংযুক্ত করা উচিত এবং এতে কালোটাকার প্রবাহের সঙ্গে জড়িত হলেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন :