এস,এম রিয়াজ: [২] উপজেলার জুনিয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিয়োগে ইসমাইল মাতুব্বর নামের এক বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মেয়েটি স্থানীয় মিরাজুল ইসলাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ৫শ্রেণীতে পড়া লেখা করে।

[৩] থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে মেহমান আসায় শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেয়েটির মা তাকে স্থানীয় জুনিয়া বাজারে তার দাদার (পিতামহ) কাছে পাঠায়, তার দাদা একটি মুরগি কিনে দিলে, মেয়েটি মুরগি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং স্থনীয় আলমগীর আকনের সুপারী বাগানের সামনের সড়কে পৌঁছলে জুনিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্ববের লম্পট ছেলে ইসমাইল মাতুব্বর (২৮) মেয়েটির পথরোধ করে শ্লীলতাহানী করে।

[৪] এসময় মেয়েটি ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সে বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে তার স্বজনদের কাছে গিয়ে ঘটনা টি জানালে তার স্বজনরা তেলিখালী পুলিশ তদন্তের কেন্দ্রের দিকে রওয়ানা হলে পথে লম্পট ইসমাইল সঙ্গে দেখা হয় এবং এ নিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে বখাটে ইসমাইল তার স্বজনদের নিয়ে হামলা চালায় এতে মেয়েটির চাচা মো. জসিম (৩০) ও কামাল হোসেন (৪২) গুরুতর আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

[৬] ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি তদন্ত মো. মেহেদি হাসান জানান, মেয়েটির মা জেসমিন বেগম বাদি হয়ে লম্পট ইসমাইল মাতুব্বর সহ ১১ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ মামলার প্রধান আসামি ইসমাইল মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী