শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৭ নভেম্বর, ২০২০, ০৩:২৩ রাত
আপডেট : ০৭ নভেম্বর, ২০২০, ০৩:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬৩ বছরে ৬ বার ভেঙেছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ

ডেস্ক রিপোর্ট : আদর্শের দ্বন্দ্ব আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে ৬৩ বছরের পথচলায় অন্তত ৬ বার বড় ভাঙনের মুখে পড়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ। শুধু তাই নয়, মওলানা ভাসানীর ন্যাপ হারিয়েছে তার ধানের শীষ প্রতীক। ডিবিসি টিভি

৮০'র দশকে ন্যাপের ১৩টি ভাগ-উপভাগের অস্তিত্ব থাকলেও এখন ন্যাপের ৫টি ধারা সক্রিয় রয়েছে। তবে নেই আগের সেই উত্তাপ। এ কারণেই একসময়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটি এখন দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন বলে মনে করছেন ন্যাপের নেতারা। তাদের প্রত্যাশা বিভেদ ভুলে আবারো একছাতার নিচে আসবে ন্যাপ।

পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ছেড়ে দলের বামপন্থী নেতাদের নিয়ে ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠা করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ। তবে যে আদর্শ নিয়ে ন্যাপ গঠিত হয়েছিল একদশক পেরোনোর আগেই তাতে চিড় ধরে। ৬০ এর দশকে সারা বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দুই শিবিরে ভাগ হলে ন্যাপেও তার প্রভাব পড়ে।

১৯৬৭ সালে ভাসানীর নেতৃত্বে চীনপন্থী ন্যাপ ও পশ্চিম পাকিস্তানের খান ওয়ালি খানের নেতৃত্বে মস্কোপন্থী ন্যাপের পথচলা শুরু হয়। পূর্ব পাকিস্তান ওয়ালি ন্যাপের সভাপতি হন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ যা পরে মোজাফফর ন্যাপ নামে পরিচিতি পায়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ১৯৭৪ সালে মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বে একটি অংশ ন্যাপ থেকে বেরিয়ে গেলেন। কাজী জাফর আহমদ, রাশেদ খান মেনন ইউনাইটেড পিপলস পার্টি গঠন করলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আবার নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠে। তখন আবার আনোয়ার জাহিদের নেতৃত্বে ন্যাপ এবং সুরঞ্জিত সেনের নেতৃত্বে একতা পার্টি গড়ে উঠে। তখন আবার ন্যাপ দুই তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।এরশাদের পতনের পর খালেদা জিয়ার সময়ে ন্যাপ অনেকভাগে বিভক্ত ছিল।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মোজাফফর ন্যাপ) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন বিভক্ত হওয়ার পর সম্নগ্র পৃথিবীতে একটা সাড়া পরেছিল। তখন ন্যাপ এর মধ্যে যারা প্রগতিশীল,সমাজতান্ত্রিক তারা সোভিয়েত সমর্থন করলো। আর মওলানা ভাসানি চীনকে সমর্থন করলো।তখন থেকেই ন্যাপের সঙ্গে উনার একটি মত পার্থক্য দেখা গিয়েছিল।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ন্যাপ স্বাধীনতার পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজৈনিতক দলে পরিণত হয়। তবে ১৯৭৪ সালে দলের তরুণ নেতা কাজী জাফর আহমদ, রাশেদ খান মেনন ন্যাপ ছেড়ে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি ইউপিপি আর সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত গণতন্ত্রী পার্টি গঠন করলে বড় ধাক্কা খায় ন্যাপ। ১৯৭৫ সালে মোজাফফর আহমদ ন্যাপের কার্যক্রম স্থগিত করে বাকশালে যোগ দিলে আরো বিপর্যয়ে পড়ে ন্যাপ। আর পরের বছরই মশিউর রহমান যাদু মিয়া বিএনপিতে যোগ দিলে স্থগিত হয়ে যায় ভাসানী ন্যাপের কার্যক্রমও।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জাতীয়তাবাদী দল যখন গঠন হলো তখন প্রতীক হিসেবে ন্যাপের প্রতীককে মশিউর রহমান জাদু মিয়া বিএনপি প্রতীক হিসেবে দিলেন। আমরাই ধানের শীষের যৌক্তিক দাবিদার।কারণ ধানের শীষ ন্যাপের প্রতীক ছিল।

৮০'র দশকে দুই ন্যাপ ভেঙ্গে কমপক্ষে ১৩টি ভাগ হয়। নব্বইয়ের দশকে ন্যাপ ছেড়ে প্রথমে গণফোরাম পরে ঐক্য ন্যাপ করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। আবু নাসের খান ভাসানীও ন্যাপের একটি অংশের সভাপতি ছিলেন। এখন ন্যাপের বেশ কটি ধারার অস্তিত্ব থাকলেও সবগুলোই নামস্বর্বস্ব।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মোজাফফর ন্যাপ) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, মওলানা ভাসানীর যারা ন্যাপে তাদের একডজনের উপর নেতারা কিন্তু জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী হয়ে গিয়েছিল ব্যাক্তি স্বার্থের কারণে। তাই এ জাতীয় রাজনীতি যারা করে তাদের দল ভাঙ্গলে তাদের দিয়ে মানুষের কল্যাণ সম্ভব না।

ন্যাপের ভাসানী অংশের কার্যক্রম চলছে চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে। আর ন্যাপ মোজাফফর অংশের নেতৃত্বে আছেন আমেনা আহমেদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়