শিরোনাম
◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫ দুপুর
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাস্ক ছাড়া সবই হচ্ছে গণপরিবহনে!

ডেস্ক রিপোর্ট : করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সরকার বারবার 'নো মাস্ক নো সার্ভিস (মাস্ক নেই তো সেবা নেই)' নীতির কথা বললেও পথেঘাটে, মাঠ পর্যায়ে তার প্রয়োগ নেই। গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই যাত্রী চড়ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চালক ও তার সহকারীর মাস্কই নেই। মাস্ক না থাকলেও সরকারি দপ্তরে সেবা মিলছে। রেলের কাউন্টারে মাস্কহীন যাত্রীও টিকিট পাচ্ছেন। সমকাল

গত তিন দিন রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসে উঠে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রীদের প্রায় অর্ধেকই মাস্ক ছাড়া। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ হলেও তা মানা হচ্ছে না। বাসে ওঠার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিস্কারের শর্তও মানা হচ্ছে না।

যাত্রী ওঠার হুড়াহুড়ির মধ্যেই কথা হয় বলাকা বাসের চালকের সহকারী মো. রনির সঙ্গে। তার নিজেরও মাস্ক নেই। তিনি জানালেন, সকালে মাস্ক নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর কোথায় যেন পড়ে গেছে! বাসটির চালকের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি।

এর আগে মগবাজার মোড়ে মিডলাইন পরিবহনের বাসেও একই দৃশ্য দেখা যায়। বাসটির চালক মোহাম্মদ নবীও ছিলেন মাস্কহীন। তার ভাষ্য, মাস্ক পরে গরমে বাস চালানো কঠিন। আর যাত্রীরা যেহেতু তার সংস্পর্শে আসে না, তাই মাস্ক পরা জরুরি নয়!

বিজয় সরণি মোড়ে কথা হয় ট্রাফিক সার্জেন্ট রাইসুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানালেন, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে তারা মামলা দেন, জরিমানা করেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মাস্ক না পরলে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের কাছে এমন কোনো নির্দেশনা নেই।

করোনার কারণে ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর ১ জুন থেকে ১১ শর্তে চলছে গণপরিবহন। যার একটি শর্ত হলো- চালক, যাত্রীসহ বাসের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। গত জুনে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা গতি হারিয়েছে।

গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও 'নো মাস্ক নো সার্ভিস' নীতির কথা বলেন। তার বরাত দিয়ে সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- মাস্ক ছাড়া কেউ সরকারি-বেসরকারি অফিসে প্রবেশ করতে পারবেন না; সেবা পাবেন না। হাটবাজার, গণপরিবহন, ধর্মীয় স্থানসহ লোকসমাগম হয় এমন স্থানে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

এ সিদ্ধান্তের পরদিনই কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়াই কাউন্টার থেকে টিকিট নিচ্ছেন যাত্রীরা। তবে ট্রেনে চড়তে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগে মাস্ক পরতে হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রী প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেই মাস্ক খুলে ফেলছেন।

কমলাপুরের ২১টি কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, টিকিটপ্রত্যাশীদের অর্ধেকের বেশির মুখে মাস্ক নেই। অনেকে মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। মাস্ক ছাড়াই টিকিট পাওয়া যাত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবাব না দিয়ে চলে যান। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মো. আমিনুল হকের ভাষ্য, মাস্ক ছাড়া যাত্রীদের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা কার্যকরও করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু যাত্রী মানতে না চাওয়ায় পুরোপুরি কার্যকর করা যাচ্ছে না।

সরকারি অফিসে মাস্ক ছাড়া সেবা পাওয়ার কথা না থাকলেও বিআরটিএতে তা কার্যকর নেই। প্রতিষ্ঠানটির মিরপুর সার্কেলে সেবার জন্য ভিড় করা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। মাস্ক না থাকলেও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে বাধা পেতে হচ্ছে না। তবে বিআরটিএর কর্মীদের জন্য সুরক্ষা রয়েছে। তাদের টেবিলে কাচের ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। তারা সেবা দিচ্ছেন কাচের ওপার থেকে। সহকারী পরিচালক শামসুল কবির জানালেন, কর্মকর্তাদের কক্ষে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়