সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় ১০ তলা পাশা টাওয়ারের চার, পাঁচ, ছয়, সাত ও আট তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিলো। আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট। ভবনটিতে লাইট ও ফ্যান তৈরির কারখানা ছিলো।
[৩] ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পুরো ভবনটি অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। তাই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ৪৯ মিনিটে কোনাপাড়ার ভুট্টো রোডে অবস্থিত পাশা টাওয়ারের পাশা লাইটের গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত। ভবনের ছয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। বিকেল সোয়া ৫টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন। রাত দুইটার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
[৫] ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে র্যাব, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএনসিসি স্কাউট কাজ করছে।
[৬] ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সেখানে কেউ আটকা পড়েছে কিনা সেই বিষয়েও জানা সম্ভব হয়নি।
[৭] ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১০তলা ভবনটির পুরোটিতে দাহ্য পদার্থ ভরপুর। আগুন নেভানোর জন্য কাজ করার কোনো পরিবেশ নেই। একটি মাত্র সরু রাস্তা রয়েছে। তার দুই দিকে খাল। ঝুঁকিপুর্ণভাবে ল্যাডার লাগিয়ে ক্রেন উঠানো হয়েছে।
[৮] পাশা টাওয়ারের মালিক মিন্টু পাশা বলেন, লাইটের গুদামে প্রায় ২শ কোটি টাকার মালামাল ছিলো। যার সবই পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
[৯] পাশা এলইডি লাইট কারখানার ম্যানেজার রিপন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, চায়না থেকে এলইডি লাইট আমদানি করে এখানে রাখা হতো। সেখান থেকে নবাবপুর ও পল্টনে বিক্রি করা হয়। ভবনটির পুরোটাতেই লাইটের গুদাম করা হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :