ইমরুল শাহেদ : [২] কোভিড মহামারীর কারণে ২১১ দিন সিনেমা হল বন্ধ থাকার পর প্রযোজক পরিবেশকদের ব্যাপক আগ্রহে ১৬ অক্টোবর সিনেমা হল খোলা হলেও এখন তারা সিনেমা হলে চলচ্চিত্র সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস।
[৩] তিনি বলেছেন, এ পর্যন্ত ৮০টি সিনেমা হল খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত ছবি না পেলে সিনেমা হলগুলো আবারো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এবার যদি সিনেমা হল বন্ধ হয় তাহলে আর খুলবে না। তাতে চলচ্চিত্রশিল্প একেবারেই বিপর্যয়ে পড়বে।
[৪] এই সমস্যা সমাধানের জন্য গত ১৭ অক্টোবর প্রদর্শক সমিতির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয়, এই সমস্যার বিষয়টি তারা তথ্য মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাবেন। সে অনুসারে তারা প্রস্তুতিও নিয়েছেন। কিন্তু তথ্যমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় তারা এগুতে পারছেন না। সুদীপ্ত কুমার দাস জানান, তারা লিখিতভাবে জানানোর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আগে আলোচনা করতে চান।
[৫] অন্যদিকে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু জানান, তাদের হাতে রেডী হয়ে আছে ৩০টির মতো ছবি। ছবির ব্যবসায়িক দিক বিবেচনায় রেখে তারা ছবির রিলিজ ডেট ঠিক করছেন।
[৬] সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসবে না প্রদর্শক সমিতি। কারণ এটা হলো বাণিজ্যিক বিষয়। প্রযোজকদের কাজ ছবি নির্মাণ করে দর্শকের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রদর্শকদের দেওয়া। এখানেতো মিটিং-সিটিংয়ের বিষয় নেই। তবে নতুন সিনেমা না পেয়ে অনেক প্রদর্শক পুরনো ছবি চালালেও দর্শক টানতে পারছে না। বেশিরভাগ হল বিদ্যুৎ বিলই তুলতে পারছে না।
আপনার মতামত লিখুন :