সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, জলবায়ু প্রকল্পগুলোর মধ্য ৭টি প্রকল্প নিয়ে ২ বছর গবেষণা চালিয়ে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। এসব প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রায় ৫৪ শতাংশ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। গবেষণার এ প্রকল্পগুলোর প্রতিটিই সরকারের প্রকল্প। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দৃষ্টান্তও নেই।
[৩] তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বহু অঙ্গীকার দেখেছি। এসব অঙ্গীকারের কার্যকর বাস্তবায়ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যে পরিমাণ অর্থ সহায়তা পাওয়ার কথা, সে তুলনায় মাত্র ৬ শতাংশ অর্থ পয়েছি। এর মধ্যে ১৫ শতাংশই অনুদান। বাকিগুলো ঋণ ও অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে খুবই হতাশাব্যঞ্জ।
[৪] তিনি আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সাংবিধানিক অঙ্গীকারগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে উল্টো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এতে জনগণের ওপর স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিস্তার করবে। ফলে দেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে ঝুঁকি বাড়ছে। এতে ১১৫ মিলিয়ন টন জীবাশ্ম বাড়বে।
[৫] ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। সেই জায়গায় সমাধান না খুঁজে উল্টো দূষণকারী দেশে পরিণত হচ্ছি। যে সাতটি প্রকল্পকে দুর্নীতি ও সুশাসনের দিক থেকে পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট হয়েছে-দুর্নীতি, সুশাসনব ও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন, সেগুলো সক্ষমতা, প্রকল্পের প্রযোজ্যতা, জন অংশগ্রহণের ব্যবস্থা, প্রকল্পের চাহিদাকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রণীত হচ্ছে।
[৬] বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। সম্পাদনা : ইসমাঈল ইমু
আপনার মতামত লিখুন :