শুভ কামাল: চার বছর আগে আমি বলছিলাম ট্রাম্পরে ভোট দেওয়া উচিত। ট্রাম্প গত চার বছরে একটাও যুদ্ধ লাগায়নি। এই একটা কারণেই তারে আরো তিন চার বার ভোট দেওয়া যায়। কেউ কেউ আশা করতেছেন, বাইডেন নির্বাচিত হইলে হা কইরা শুধু বইসা থাকবে, ভুল! বাইডেন নির্বাচিত হইলে আবার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু হবে। ট্রাম্পের ফরেইন পলিসিই হচ্ছে সে আমেরিকাকে আর গ্লোবাল স্কেলে মাতব্বরি করতে দিবে না পকেটের টাকা খরচ করে। দেখুন সে জাপানের কাছে টাকা চাইছে, ন্যাটোর কাছে টাকা চাইছে- বলছে তোদেরে আমরা নিজের টাকা খরচ কইরা নিরাপত্তা দিবো কেন মাগনা? তোরা নিরাপত্তা চাইলে টাকা দে! ঠিক এই কারণেই বিশ্ব জুড়ে গত চার বছরে যুদ্ধ কম হইছে। আর আস্তে আস্তে আমেরিকা ইচ্ছা করেই মাতবরি সিগনিফিকেন্ট ভাবে কমিয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ হয়তো ভাবতেছেন আমেরিকার শক্তি কমে গেছে- আসলে সেটা ইনটেনশনাল। যদিও এতে বিশ্বের কিছু ক্ষতি হইছে।
আমেরিকা যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকতো তাহলে হয়তো এই গ্লোবাল প্যানডেমিকটা আটকানো যেত। আমি ট্রাম্পের উপর বিরক্ত করোনা নিয়ে। এবং সে আসলেও প্রেসিডেন্সিয়াল শুনায় না। আর সে আসলে আমেরিকান ডেমোক্রেসিরও ক্ষতি করছে আজেবাজে কথা বলে, আমেরিকার ইতিহাসে কখনও এমন হয়নি। তবু মনে হচ্ছে সে আবার শান্তিপূর্ণ ভাবেই জিতে যাবে। এতে আমি মোটেও অখুশি না। ভায়ে কথা একটু বেশি বলে, তবে কাজে ঠিক আছে। কি পরিমাণ এশিয়ান লোক ট্রাম্পকে ভোট দিছে কল্পনাও করতে পারবেন না। হ্যাঁ মুসলমানরাও গণহারে তারে ভোট দিছে। আমার পরিচিত অনেক বাঙ্গালিরাও দিছে। সে থাকায় নতুন ভার্সিটি থেকে পাশ করা লোকেদের চাকরির সুবিধা হইছে। সে প্রচুর ট্যাক্স ব্রেক দিয়েছে। আরেকবার চান্স দিলে হয়তো ম্যানুফ্যাকচারিং এরও উন্নতি হবে। আর চায়নারে ঠেকানোর জন্য তো ট্রাম্পরে লাগবেই- এইজন্য ফিলিপাইনের আর ইন্ডিয়ার লোকেরাও তারে ভোট দিছে। সেই দিন ভার্সিটিতে গিয়ে দেখি কালা ভাইরাও সাপোর্ট করছে। আমার ধারণা ট্রাম্পের ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টোরি হবে। আগের চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :