এম.ইউছুপ রেজা: [২] বুধবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত জননেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
[৩] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এম.পি বলেছেন, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বস্থ থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি সকল পরিচিতি ছাপিয়ে রাজনীতিবিদ পরিচয়েই স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। সামরিক স্বৈরশাসকের মন্ত্রী হবার প্রলোভন তাকে টলাতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাবু ভাইকে শ্রদ্ধা করতেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়তে পারলেই বাবু ভাইয়ের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির উজ্জ্বল নাম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র স্মৃতি অম্লান হয়ে থাকবে।
[৪] তিনি আরও বলেন, খন্দকার মোসতাকের বেঈমানির কারনে জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি। শত প্রলোবনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে জাতীয় চার নেতা শহীদ হয়েছেন। তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তরুণ প্রজন্মরা এগিয়ে যাবে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এমপি বলেন, নেতা আর জননেতা এক নয়, আখতারুজ্জামান বাবু ছিলেন জননেতা। গণমানুষের নেতা। বাবু ভাই ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তাদেরও নেতা ছিলেন। বাবু ভাই কথা ও কাজে এক থাকতেন। রাজনীতিতে শ্রদ্ধা, সৌজন্য ও সম্মান প্রদর্শন দরকার। তিনি বলেন, নেতৃত্বের প্রতি অটুট আস্থা রেখে যাতে দলকে ঐক্য রাখা যায় তা দেখতে হবে। বাবু ভাইয়ের দৃষ্টান্ত আমরা অনুসরণ করলে আমাদের রাজনীতি সুন্দর হবে। মন্ত্রী না হয়েও তিনি দলের জন্য কাজ করেছেন।
[৫] সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, বাবু ভাই একজন ধর্নাঢ্য ব্যক্তি হলেও তার বাড়িতে সর্বসাধারণের অবাধ যাতায়াত ছিল। নেতৃত্বের মধ্যে বিতর্ক থাকলেও ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে তিনি সৌজন্যতা দেখাতেন। গণমানুষের নেতা ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাই। তিনি ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তাদেরও নেতা ছিলেন। দলের ঐক্যের প্রতীক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সর্বক্ষেত্রে সফল মানুষ ছিলেন।
[৬] শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে যখন অনেক বড় বড় নেতা আস্থার সংকটে ভুগেছিলেন তখন তিনি (আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু) আস্থা হারাননি। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে অনেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছিলেন তখন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দল ছেড়ে যাননি বরং নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়ে দলের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। “তাদের সেই ত্যাগে আজ দল টানা তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায়। তিনি অসময়ে চলে গেছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :