রহিদুল খান : [২] বুধবার (৪ নভেম্বর) বেলা সকাল ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত স্মৃতি তরফদার উপজেলার হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের কুমারসীমা গ্রামের দীনবন্ধু রায়ের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় কুমারসীমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। আর দীনবন্ধু রায় হরিদাসকাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
[৩] তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী স্মৃতি তরফদার মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে নিজ বাড়ির তিনতলার ছাদের ঘরে গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৪] স্বামীপক্ষের দাবি, ভয় পেয়ে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে, স্মৃতি তরফদারের আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। কারণ জানতে পুলিশ লাশ মর্গে পাঠিয়েছে স্বামী দীনবন্ধু রায় বলেন, কয়েকদিন আগে বাড়িতে প্রেশারকুকার বিস্ফোরিত হলে আমার স্ত্রী ভয় পান। সেই থেকে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর স্মৃতি আমাকে ফোন করে কবিরাজ ডাকতে বলেন। আমি কবিরাজ নিয়ে ঝাড়ফুঁক দেওয়াই। এরপর নিজের হাতে তাকে খাইয়ে দিই। রাত দশটার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। একপর্যায়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে দেখি, স্মৃতি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন।
[৫] হরিদাসকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান বিপদভঞ্জন পাড়ে জানান, দীনবন্ধু সনাতন ধর্মের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে গান করেন। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। চেয়ারম্যান বলেন, "দিনবন্ধুর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে। তারা আশপাশের কাউকে বাড়ি ঢুকতে দেয়নি। পরে বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে তার শ্যালক পুলিশ নিয়ে যায়। পুলিশ এসে লাশ নামায়। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল বলে আশপাশের লোকজন বলাবলি করছেন।"
[৬] মণিরামপুর থানার এসআই শাহিনুর ইসলাম বলেন, 'বুধবার সকাল আটটার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করি। আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। সন্দেহ হওয়ায় লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শিক্ষিকার বাবা বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন।' সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :