শিরোনাম
◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৫২ দুপুর
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব পড়বে মহাকাশেও

অনলাইন ডেস্ক: এবারের মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব পড়বে মহাকাশেও। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন শুধু এ বিশ্বের নয়, মহাকাশ সম্পর্কিত একাধিক বিষয়েও ভিন্ন মত পোষণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সাল নাগাদ ফের চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে মহাকাশ প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর।

ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় এলে ২০২৫ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সমর্থন হারাতে পারে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র। এমনকি কয়েক দশক পুরোনো মার্কিন ‘অরবিটাল ল্যাবরেটরি’র নিয়ন্ত্রণও ব্যক্তিমালিকানাধীন মহাকাশভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। অন্য দিকে, জো বাইডেনের হিসেব এক্ষেত্রে হবে অন্যরকম। সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের তথ্য বলছে, প্রথমেই চাঁদে মানুষ পাঠানোর অভিযান পিছিয়ে দেবেন এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের জন্য তহবিল সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবও রাখবেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চন্দ্রাভিযান পিছিয়ে গেলে বোয়িংয়ের ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ (এসএলএস) রকেটের ভবিষ্যত্ নিয়ে সংশয় বাড়বে। কারণ অন্যান্য মহাকাশ প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো বসে নেই। আগামী বছর নাগাদ নিজ নিজ প্রতিদ্বন্দ্বী রকেট নিয়ে বাজারে পা রাখতে চাইছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স এবং জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন। সব মিলিয়ে বোয়িংয়ের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ২২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের চুক্তি ফুরিয়ে যাবে ২০২৪ সাল নাগাদ।

এ ছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারির চাপ এবং প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর নিজেদের ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজগুলোকে বসিয়ে রাখার কারণে বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে, বাইডেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের তহবিলে সময়সীমা বাড়ালে তা বোয়িংকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে। বর্তমানে নভোচারীদেরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বোয়িং ও স্পেসএক্স মহাকাশযান সরবরাহ করছে। এ কমর্সূচি শুরু হয়েছিল ওবামা প্রশাসনের আমলে। ট্রাম্প ও বাইডেন দুই জনেরই এতে সমর্থন রয়েছে। চন্দ্রাভিযান পিছিয়ে দিলে সেটির প্রভাব পড়বে চাঁদে অবতরণকারী ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশের চুক্তির বেলায়। অনেক প্রতিষ্ঠানই ঐ চুক্তি করতে আগ্রহী। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটিই পিছিয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়