শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪২ দুপুর
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রভাষ আমিন: শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিন, ঘৃণা বিদ্বেষ উগ্রবাদ নয়

প্রভাষ আমিন: যারা ফ্রান্স বয়কটের ডাক দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন, তারা কি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে মেরে ফেলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন? প্রতিবাদ করবেন? ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা শেখায়, শালীনতা শেখায়, শৃঙ্খলা শেখায়। কিন্তু আমরা ধর্মের ভালোটা না শিখে উগ্রতা আর নিষ্ঠুরতাকেই ধর্ম মনে করি। ধর্ম বুড়িমারীর সেই মানুষদের পুরো মানুষ বানাতে পারেনি, পশু বানিয়েছে। আমি ততোটা ধার্মিক না হলেও আমার জন্ম সত্যিকার অর্থেই এক সম্ভ্রান্ত, মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে। আমার পূর্বপুরুষরা সৌদিআরব থেকে এ দেশে এসেছিলেন ধর্ম প্রচার করতে। গ্রামে আমাদের বাড়ির নাম মৌলভি বাড়ি। গ্রামের জামে মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান আমাদের বাড়িতেই। তাই ছেলেবেলা থেকেই ইসলাম ধর্মেরর সৌন্দর্যটা আমি কাছ থেকে দেখেছি। ইসলামি সংস্কৃতির চর্চা ছিল আমাদের ঘরে, আমাদের বাড়িতে। সকালে মক্তবে যাওয়া, সুর করে কোরআন শরিফ পড়ে দিন শুরু করা, আজান হলেই মসজিদে যাওয়া ছিল প্রাত্যহিক চর্চা। দুই ঈদ, শবে কদর, শবে মেরাজ, শবে বরাত উদযাপন, রাত জেগে বার্ষিক মাহফিলে ওয়াজ শোনা- দারুণ উৎসবমুখরতায় কেটেছে আমাদের ছেলেবেলা। আমাদের নানাবাড়িও ছিলো ধার্মিক। দুই পরিবার ধার্মিক হলেও কোনো গোঁড়ামি দেখিনি। তাই আমরা বেড়ে উঠেছি মুক্ত পরিবেশে। চিন্তা করতে শিখেছি স্বাধীনভাবে। আমাদের গ্রামে না থাকলেও নানাবাড়ি রঘুনাথপুরে অনেক হিন্দু পরিবার ছিলো। পূজার ছুটিতে আমরা নানাবাড়ি চলে যেতাম। অংশ নিতাম পূজার উৎসবেও। আমাদের আনন্দ ডাবল হয়ে যেত। শীতকালে ওয়াজ শুনতে যেতাম যেমন, যাত্রাপালা হলেও যেতাম।

আমাদের বাড়ি বা নানাবাড়ি এলাকার ধার্মিক মুসলমানদের দেখলে আপনাআপনি শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসতো। শান্ত, সৌম্যকান্তি একেকজন সুফি মানুষ। কিন্তু ইসলামের নামে এখন দেশে দেশে যে নির্মমতা আর ছেলেবেলা থেকে দেখে আসা আমার ইসলামকে মেলাতে পারি না। ইসলাম শব্দের অর্থই শান্তি; ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম। এখন ধর্মের নামে যা হচ্ছে তা কোনোভাবেই ইসলাম নয়। এভাবেই কিছু উগ্রমানুষ শান্তির ধর্ম ইসলামকে সন্ত্রাসের সমার্থক করে তুলেছে। তারা ইসলামের ক্ষতি করছে, ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। ইসলামের স্বার্থেই এদের ঠেকাতে হবে। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম কখনোই কোনো সন্ত্রাস বা জবরদস্তিকে সমর্থন করে না। কিন্তু কিছু মানুষ পান থেকে চুন খসলেই ধর্ম অবমাননার দোহাই দিয়ে জেহাদি জোশে রাস্তায় নেমে পড়ে। কথায় কথায় তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে। ইসলামের মতো একটি ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের অনুভূতি এতো ঠুনকো হবে কেন? ইসলাম নিয়ে কিছু লিখলেই গালি আর হুমকির বন্যা বয়ে যায়। কোনো কথার তারা পাল্টা যুক্তি দেয় না, গালি দেয়। তারা যে ভাষায় কথা বলে, যে ভঙ্গিতে, তা কখনো ইসলামসম্মত হতে পারে না। প্রিয় মুসলমান ভাইয়েরা আপনারা ইসলামের আসল সৌন্দর্যটা অনুধাবনের চেষ্টা করুন। আপনার অস্ত্র তো দূরের কথা, আপনার মুখের কথায়ও যেন কেউ আঘাত না পায়। আপনার কথায়-আচরণে যেন ইসলাম সম্পর্কে ভুল বার্তা না ছড়ায়। শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিন, ঘৃণা-বিদ্বেষ-নিষ্ঠুরতা নয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়